শেষ ভাল যার সব ভাল তার-এই প্রবাদটা অবশ্য বলার সুযোগ নেই! জিম্বাবুয়ে সফরে শেষটাতে জয় থাকলেও হাসিমুখ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কারণ টি-টুয়েন্টি আর ওয়ানডে দুটো সিরিজই যে হেরেছে টাইগারররা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের কাছে ৯ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ হারের পর কোন অজুহাত হয়না!
সেই পথে হাঁটছেনও না তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক বুধবার সাফ জানালেন- সত্যিই অনেক কাজ করার আছে এই দল নিয়ে। কারণটাও সংগত, জিম্বাবুয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ওয়ানডে ফরম্যাটে আরও সতর্ক হতে হবে টাইগারদের। গত ৯ বছরে তাদের সঙ্গে টানা ১৯ ওয়ানডে জয়ের পর এবার শুধু একটি ম্যাচ নয়, টানা দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ হারিয়েছে সিরিজও।
বুধবার যা একটু রক্ষা। ১০৫ রানে জিতে অন্তত সিরিজ হারের দুঃখ ভুলেছে দল। সিরিজ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলছিলেন, ‘দেখুন, যখনই দল হারে, বিশেষ করে আমরা যখন হারি, তখনই উন্নতির কথা তুলে নিয়ে আসি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে সিরিজ জেতা উচিত ছিল আমাদের। এখানে কোনোভাবেই কোনো অজুহাত দিতে পারব না। আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি, জিম্বাবুয়ে আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
উন্নতি করতেই হাবে। সামনে আরও চ্যালেঞ্জ। সাকিব বলছিলেন, ‘আসলে উন্নতির কথা বলতে গেলেই একই একঘেয়ে কথা চলে আসে। হারলেই বলা হয় ‘এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত।’ এখন যেটি বলব, সেটি আপনাদের পছন্দ হতে পারে, না-ও পারে। তবে আপনারা চিন্তা করে দেখবেন। এই সিরিজটা আমরা যেভাবে হেরেছি, যদি ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা শীর্ষ কোনো দলের সঙ্গে হারতাম, তাহলে এমন প্রশ্ন উঠত না। হয়তো দেখা গেল, কোহলি বা স্মিথ এমন ইনিংস খেললে আমরা মেনে নিতাম। এখানে প্রথম দুই ম্যাচে রাজার সঙ্গে একটিতে চাকাভা ও আরেকটিতে কাইয়া যেভাবে ব্যাটিং করেছে, এটাই প্রমাণ করে, ওয়ানডেতে অনেক উন্নতি করার দরকার আমাদের। ওদের খাটো করছি না। ওরা অবিশ্বাস্য ভালো খেলেছে। কিন্তু আমাদের দলের তরফ থেকে ভাবলে, অনেক কিছু করার বাকি। ওরা করলে অন্যরাও করতে পারবে আমাদের সঙ্গে। আয়ারল্যান্ডে সিরিজ আছে আমাদের, ওরাও পারে এটা। আমাদের সবার জন্যই এটি শিক্ষা।’
Discussion about this post