হার দিয়ে শুরু। হার দিয়ে শেষ! মাঝে একটা ম্যাচে জয়। সব মিলিয়ে হতাশাটাই বেশি। কিছুতেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হলো না। টি-টুয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পেরে উঠল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হারারেতে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে ১০ রানে হারাল স্বাগতিকরা। তার পথ ধরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
এই হারে অপ্রিয় একটা রেকর্ডও যুক্ত হলো বাংলাদেশের নামের পাশে। ৭টি দ্বিপাক্ষিক টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলে জিম্বাবুয়ে এই প্রথমবার হারাল বাংলাদেশকে।
যদিও মঙ্গলবার জিততেই যাচ্ছিল টাইগাররা। কাজী নুরুল হাসান সোহানের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়েতে শেষ টি-টুয়েন্টিতে মোসাদ্দেক হোসেন ছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু নেতৃত্বের শুরুতেই হতাশা সঙ্গী হলো এই অলরাউন্ডারের।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে জিম্বাবুয়ে তুলে মাত্র ৭৬ রান। এরপর এক ওভারে সর্বনাশ। নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভার থেকে রায়ান বার্ল তোলেন ৩৪ রান। ৫ ছক্কার সঙ্গে ১টি চার! রীতিমতো টর্নেডো। মোসাদ্দেক মনে করেন সেই একটা ওভারেই খেলা বদলে গেছে। যদিও পরের তিন ওভারও ভাল হয়নি। তারপর ১৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে জিম্বাবুয়ে দল বাংলাদেশকে আটকে রাখে ১৪৬ রানে।
ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেক বলছিলেন, ‘প্রথম ১৪ ওভারে আমরাই দাপট দেখাচ্ছিলাম কিন্তু ঐ ওভারই খেলাটা বদলে দিল। যে জিনিসটা হচ্ছে আমরা ম্যাচ থেকে সরে যাচ্ছি মিডল ওভারে। বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন মিডল ওভারে আমরা উইকেট বের করতে পারছি না। ব্যাটিংয়েও একই, মিডল ওভারে যেভাবে রান করা দরকার সেভাবে হচ্ছে না। এ কারণে আমরা শেষের দিকে চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয় এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে আমরা ভালো করতে পারবো।’
টি-টুয়েন্টিতে শেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র ২ জয়। ২০০৬ সালে এ ফরম্যাটে পথচলা শুরু হলেও ২০ ওভারের ক্রিকেটটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি টাইগাররা। এ অবস্থায় মোসাদ্দেক বলছিলেন, ‘দেখুন, আপনি যদি ধারাবাহিক না থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই চিন্তার কারণ। অবশ্যই আমাদের এই জায়গাগুলোতে ধারাবাহিক হতে হবে যদি আমরা ভালো দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি উন্নতি করতে চাই বা সফল হতে চাই। আমি মনে করি অবশ্যই দুই-একটা বিভাগ দেখলেই হবে না পুরো দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৬/৮ (চাকাভা ১৭, আরভিন ২৪, মাধেভেরে ৫, রাজা ০, উইলিয়ামস ২, শুম্বা ৪, বার্ল ৫৪, জঙ্গুয়ে ৩৫, ইভান্স ৫*, নিয়াউচি ১*; মুস্তাফিজ ৪-০-২২-১, মেহেদি ৪-১-২৮-২, মোসাদ্দেক ৪-০-২২-১, নাসুম ২-০-৪০-১, হাসান ৪-০-২৮-২, মাহমুদউল্লাহ ২-০-৮-১)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪৫/৮ (লিটন ১৩, ইমন ২, এনামুল ১৪, শান্ত ১৬, মাহমুদউল্লাহ ২৭, আফিফ ৩৯*, শেখ মেহেদি ২২, হাসান ৩, ; ইভান্স ৪-০-২৬-২, নিয়াউচি ৪-০-২৯-৩, মাধেভেরে ২-০-১৪-১, রাজা ৪-০-২১-০, মাসারা ১-০-৫-০, উইলিয়ামস ২-০-১৬-১, জঙ্গুয়ে ৩-০-২৮-১)
ফল: জিম্বাবুয়ে ১০ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে জিম্বাবুয়ে ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: রায়ার্ন বার্ল
সিরিজসেরা: সিকান্দার রাজা
Discussion about this post