বাংলাদেশ দাপটের সঙ্গেই এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটে। অথচ একই দল নিয়ে টি-টুয়েন্টি আর টেস্ট ক্রিকেটে কিছুই করতে পারছে না টাইগাররা। বিশেষ করে ২০ ওভারের ক্রিকেটে রান তুলতেই পারছে না ব্যাটাররা। পাওয়ার হিটার নেই। অথচ এমনই দৃশ্যপটে চলতি বছরই অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে নামবে দল। তার আগে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতেই উঠে আসছে একটা প্রসঙ্গ- দলে যোগ্য পাওয়ার হিটিং ব্যাটসম্যানের অভাব।
এনিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। সাফ জানালেন, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কাছে আন্দ্রে রাসেল বা কাইরন পোলার্ডের মতো পাওয়ার হিটিং আশা করা বোকামি। জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আজ মঙ্গলবার মিরপুরে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি, আমরা কেউই পাওয়ার হিটার না। আমরা চাইলে আন্দ্রে রাসেল বা পোলার্ড হতে পারব না। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু আছে তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়।’
মেহেদী সঙ্গে যোগ করলেন, ‘পাওয়ার হিটিং কোচের দরকার। তবে আপনার যে স্কিল আছে, একে কোচ হয়ত ১০ শতাংশ এগিয়ে দিবে। কিন্তু ৩০ শতাংশকে ১০০ শতাংশকে পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা জন্মগতভাবেই এরকম। রাতারাতি পরিবর্তন করা মনে হয় না সম্ভব। আমরা প্রায় ১৫ বছরের মত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি। হলে আরও আগেই হয়ে যেত। যেহেতু হচ্ছে না, আমাদের এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। পাওয়ার হিটিংয়ের কথা সবসময়ই আসে। কিন্তু এটা ঠিক না। আমাদের সামর্থ্যের বাইরে চাইলেও করতে পারবে না। এটা আপনাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে লক্ষ্য নিয়ে এই তরুণ ক্রিকেটার বললেন, ‘টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে পাঁচটা ভালো বোলার লাগে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দলে বোলার আছে। যে ৭০ শতাংশ সামর্থ্য আছে ব্যাটাররা যদি এটাকে ৯০ শতাংশ করে দিতে পারত, হয়ত ফলাফল আরও পক্ষে আসতো। বিশ্বকাপে বাজে ম্যাচ কম হয়েছে। ক্লোজ ম্যাচ ছিল, ছিটকে গেছি। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে। বোলার সবসময়ই ভালো আছে।’
জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে মেহেদী আরও বলেন, ‘জিম্বাবুয়েতে অনেক ভালো উইকেট। ভালো উইকেতেই ভালো করতে হবে। তা না হলে ভালো পর্যায়ের ক্রিকেটে টিকতেক পারবেন না। এটা স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমাদেরও সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
টি-টুয়েন্টি সিরিজ দিয়ে মাঠে গড়াবে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক লড়াই। ৩০ জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জুলাই ও ২ আগস্ট, একই ভেন্যুতে। তিনটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায়।
টি-টুয়েন্টি সিরিজ শেষে ওয়ানডের লড়াই শুরু হবে ৫ আগস্ট। ৭ ও ১০ আগস্ট বাকি দুই ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এই সিরিজের তিনটি ম্যাচের ভেন্যুও হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় শুরু হবে।
Discussion about this post