দেশের দুই প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠালেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক এক সময় এই দুই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এই দুই প্রতিষ্ঠান কোন অনুমতি না নিয়ে তাদের বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং প্রমোশনে ব্যবহার করছে সাকিবের ছবি। বেআইনিভাবে ব্র্যান্ড ইমেজ, ছবি ব্যবহার করার অভিযোগে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন সাকিবের আইনজীবি। ব্যবসায়িক স্বার্থে তার ছবি, ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করায় দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
রোববার সাকিবের আইনজীবি ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী পাঠিয়েছেন এই নোটিশ। সাকিবের বিজ্ঞাপন সংস্থার এজেন্ট নাফিস মোমিন এনিয়ে গণমাধ্যমে বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংককে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ইমেজ ব্যবহার করেছে। তাও আবার কোনো অনুমিত ছাড়া এবং চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও।’
সাকিব আল হাসানের পক্ষে আইনজীবি ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী গণমাধ্যমে বলেন, সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ ও বিশ্বের স্বনামধন্য ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসানের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ইমেজ নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য বাংলালিংক ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। চুক্তির শর্ত ছিল মেয়াদ শেষ হলে বাংলালিংক সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সম্বলিত কোনো ছবি অ্যাডভারটাইজমেন্ট ইত্যাদির কোনো রূপ ব্যবহার আর করবে না। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি। তারপরও বাংলালিংক চুক্তি ভঙ্গ করে বেআইনিভাবে যমুনার ব্যাংকের এটিএম বুথসহ আরো অন্যান্য জায়গায় সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সম্বলিত ইমেজ অ্যাডভারটাইজমেন্ট প্রচার করছে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ অন্যায়ভাবে হাসিলের জন্য।’
বলা দরকার, ২০১৪ সালে স্ত্রী উম্মে আহেমদ শিশিরকে সঙ্গে নিয়ে বাংলালিংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন সাকিব। তাদের দুজনের একাধিক বিজ্ঞাপন তখন দেখা যায় টেলিভিশনের পর্দায়। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বাংলালিংক সাকিবের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি, বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আসছে।
চুক্তি শেষ হওয়ার পর সাকিবের ছবি, ইমেজ বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার অনুমতি নেই। সেই চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। এ অবস্থায় ৭দিনের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ পাওয়া না গেলে আইনি পদক্ষেপে যাবেন সাকিব। আইনভঙ্গের কারণে ফৌজদারি মামলা এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের মোকদ্দমা হতে পারে।
Discussion about this post