স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই। কথায় তো আছেই স্বপ্নই বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে। সেই কাজটাই করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার উড়ালেন স্বপ্নের ফানুস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন একদিন আগেই। বিমানবন্দরে নেমে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিরাজ বলছিলেন, ‘দেখুন, আমরা তো স্বপ্ন দেখি এশিয়া কাপ জিতব, বিশ্বকাপ জিতব।’
বুধবার প্রথম ধাপে সফর থেকে ফিরেছে দল। ৩-০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের তৃপ্তি নিয়ে ফিরলেন মিরাজরা। সেই সাফল্যের রেশ ধরে মিরাজ বলছিলেন, ‘ওয়ানডেতে আমরা কমফোর্টেবল। সব সময়ই ভালো ক্রিকেট খেলি। ৪/৫ বছর ধরে ভালো ফল করে আসছি। যে জিনিসটা সফলতা পাই অবশ্যই ওই জিনিসটায় সবাই বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে।’
সেই আত্মবিশ্বাস থেকে মিরাজ মনে করেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে টাইগাররা। তিনি বলছিলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ বেশি দূরে নেই। হয়তো ১ বছর ২/৩ মাস আছে। কিন্তু আমরা যেভাবে যাচ্ছি, আমরা যেভাবে প্রক্রিয়ায় আছি এভাবে আগালে আমাদের সামনের বিশ্বকাপটা বেশি ভালো হবে। আমাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকবে। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন, তারা তো অনেক অভিজ্ঞ। তারপর আমি, মোস্তাফিজ, লিটনরাও খেলেছে। আমরা যারা আছি তাদেরও পাঁচ বছর ক্যারিয়ার হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক। মোটামুটি ভালো একটা একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলতে পারব।’
এই সফর শেষে সপ্তাহ খানেক বিশ্রাম। এরপরই বাংলাদেশ দল উড়াল দেবে জিম্বাবুয়েতে। সেখানে থাকছে ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টি সিরিজ। এই ধকল সামলে উঠার পরই এশিয়া কাপ। তারপরই বিশ্বকাপ। চাপটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
মিরাজ বলছিলেন, মানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে মিরাজ বলেন, ‘আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমাদের অবশ্যই খেলতে হবে এবং আমি মনে করি যতদিন ক্রিকেট খেলব এবং যেই খেলুক না কেন পেশাদার খেলোয়াড়দের এমনই হওয়া উচিত। কারণ, আমরা হয়তো চারদিন সময় পেয়েছি। তারপর আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ, তারপর হয়তো খুব তাড়াতাড়ি অনেক খেলা আছে। যত তাড়াতাড়ি মানসিক রিফ্রেশ করা যায় এবং চারটা দিন পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করা যায়। চেষ্টা করব পরিবারের সঙ্গে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় হয়তো মানসিকভাবে ফ্রি হবে ভালো ভাবে।’
Discussion about this post