সেই ২০১৩ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব নিয়ে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা চালু করার ঘোষণা দেননাজমুল হাসান পাপন। তারপর সেটি ছিল আলোচনার টেবিলেই। অবশ্য এটা করতে বিসিবির গঠনতন্ত্রে আনতে হতো পরিবর্তন। মঙ্গলবার বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কাউন্সিলরের সম্মতিক্রমে আগের সংবিধানে সংশোধনী এনে অবশেষে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে লিগে যে প্রশ্নবিদ্থ আম্পায়ারিং হয় তা নিয়েও কথা বললেন পাপন।
এদিন রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গঠনতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরিবর্তন এনেছে বিসিবি। আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কাঠামো। তেমনটাই সভা শেষে জানালেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
দুই মেয়াদে না পারলেও নাজমুল হাসান পাপন তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে এসে সেই কাজ করার প্রক্রিয়া শুরু করলেন। এজিএম শেষে গণমাধ্যমে বিসিবি সভাপতি বলেছেন,‘কন্সটিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্ট ছিল সেগুলো আমরা পেশ করেছিলাম, সবগুলোই সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের এজিএমে পাশ হয়েছে। কন্সটিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্টের মধ্যে একটা ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, সেটা আজকে হয়ে গেলো। আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা করতে এখন আর বাধা রইলো না।’
বিসিবি যত দ্রুত সম্ভব আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার একটি পুর্নাঙ্গ রূপ ও গাইডলাইন দেবে বলে জানিয়েছেন তানভীর আহমেদ টিটু।
এদিকে এদিন ঢাকা লিগের আম্পায়ারিং নিয়েও কথা বললেন পাপন। প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। যদিও আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এ অবস্থায় বিসিবি প্রধান বললেন, ‘টকশোতে এসে ঢালাওভাবে বলে যাচ্ছে। কোন খেলাটা বলেন, আমাদের কাছে রেকর্ড করা আছে, আমরা দেখবো। আপনাদের সবার সামনেই দেখবো, বসলেই তো দেখা যাবে কী হয়েছে। বিষয়টা হচ্ছে এখন রেকর্ড করা আছে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চেক করে দেখতে পারি। আমাদের কাছে এখন অভিযোগ আসে না। শেষ বছর তো অভিযোগই আসেনি। অভিযোগ আগেও এসেছিল আমরা দেখেছি, এ রকম কিছু আমরা পাইনি।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘প্রিমিয়ার ডিভিশনে আম্পায়ারিং নিয়ে কখনও সমস্যা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি আপনাদেরকে বলছি আমাদের সব রেকর্ড করা আছে, আমরা প্রিমিয়ার ডিভিশনে আগের থেকে শুরু করেছিলাম, রেকর্ড করা আছে। মূল সমস্যা যেটা হচ্ছিল আমরা শুনছিলাম, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগে, ওই জায়গাটায় আমাদের কাছে বেশি অভিযোগ আসতো। তারপর প্রথম বিভাগে সব রেকর্ড করা হচ্ছে, এখন আমরা সবগুলোই করছি। যখন থেকে রেকর্ড করছি তখন থেকে অভিযোগ আসছে না।’
Discussion about this post