এটা কী বিনা মেঘে বজ্রপাত? না, তেমনটা নয়! গত কয়েক মাস ধরেই আঁচ করা যাচ্ছিল কোথায় যেন সুর কেটে যাচ্ছে। শেষ অব্দি সত্য হলো আশঙ্কাই। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিকে বিদায় বললেন তামিম ইকবাল। ৩৩ বছর বয়সে গুডবাই বললেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাট থেকে।
ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার আনন্দের মধ্যেই অধিনায়ক জানালেন আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি থেকে বিদায়! গায়ানায় শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। তামিম জিতে নেন ম্যান অব দা সিরিজের পুরস্কার। এরপরই জানালেন বিদায় টি-টুয়েন্টি!
তামিম তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’
অবশ্য তাতে তেমন বিস্ময়কর ছিল কোথায়? গত কিছুদিনে মনে হচ্ছিল এমনটাই হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চের পর এই ফরম্যাটে তামিমকে আর দেখা যায়নি। চোটের কারণে কিছুদিন ছিলেন না। এরপর ফিট হলেও গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ান।
বিশ্বকাপে দল ব্যর্থ হওয়ার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তিনি ফেরেননি। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি বিপিএল চলার সময় তিনি জানান, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি থেকে ৬ মাসের বিরতি নিচ্ছেন। ৬ মাস শেষ হওয়ার দিন দশেক আগে বললেন বিদায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৮ টি-টুয়েন্টিতে ২৪.০৮ গড়ে ও ১১৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১৭৫৮ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তিনি। ২০১৬ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস।
দেশের হয়ে সবশেষ তিন টি-টুয়েন্টিতে তার রান ৩৯, ৬৫ ও ৪১। তারপরও নিজেকে সরিয়ে নিলেন তামিম। টি-টুয়েন্টি অবসরের দিন ওয়ানডেতে অবসর নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন তামিম। বলেন, ‘একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিতে চাই। গত প্রেজেন্টেশনে বলেছিলাম- আমাদের ৪ জনের (তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ) সম্ভবত ইতি ঘটবে ২০২৩ বিশ্বকাপে। এটা আসলে ‘স্লিপ অব টাং’ ছিল। আমি বলতে চেয়েছিলাম এটা আমাদের ৩ জনের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। বাকিরা কখন শেষ করবে, কতদিন বলবে এটা তো তাদের ওপর। আমারও ইচ্ছা আছে। অনেক সময় বিতর্ক হয়ে যায়, তাই পরিস্কার করলাম।’
Discussion about this post