দুঃস্বপ্নের মতো শুরু, স্বপ্নের মতো শেষ! বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটাকে এভাবেই বিশ্লেষণ করা যায়। টেস্ট সিরিজে ভরাডুবি দিয়ে সফর শুরু। তার ওয়ানডে ক্রিকেটে দাপট দিয়ে শেষ। মাঝে টি-টুয়েন্টিতেও হার। সব মিলিয়ে শেষ ভাল যার সব ভাল তার-সূত্রটাও ঠিকঠাক হলো না। শনিবার সফরের শেষ ম্যাচটিতে হাসি মুখে মাঠ ছাড়ল টাইগাররা।
দলে ফিরেই চমক দেখালেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে রাখলেন কম রানে। তারপর নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ফিনিশিং। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭৮ রান টপকে গেল দল ৯ বল হাতে রেখেই!
সব মিলিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। আবার উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা একাদশ জয় পেল টাইগাররা। গত বছর জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারে ২-০ ব্যবধানে। আর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে উইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করল বাংলাদেশ।
শনিবার রাতের জয়ে বড় ভূমিকা তাইজুলের। ২০২০ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ফিরেই দেখালেন চমক! ২৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তাইজুল। দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনো স্পিনারের এটিই সেরা বোলিং। প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচেরসেরা।
আর ব্যাট হাতে চারটি চারে ৫২ বলে ৩৪ রান করেন তামিম ইকবাল। লিটন দাস ৬৫ বলে খেলা লিটনের ৫০। নুরুল হাসান সোহান ৩৮ বলে করেন ৩২। ৩৫ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮/১০ (হোপ ২, কিং ৯, ব্রুকস ৪, কার্টি ৩৩, পুরান ৭৩, পাওয়েল ১৮, পল ৮, আকিল ১, শেফার্ড ১৯, মোটি ২, জোসেফ ৭*; নাসুম ৯.৪-১-৩৯-২, মুস্তাফিজ ৯-০-২৪-২, তাইজুল ১০-২-২৮-৫, মোসাদ্দেক ১০-১-২৩-১, মিরাজ ৮-০-৬১-০, আফিফ ২-১-২-০)।
বাংলাদেশ: ৪৮.৩ ওভারে ১৭৯/৬ (তামিম ৩৪, শান্ত ১, লিটন ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২৬, আফিফ ০, মোসাদ্দেক ১৪, সোহান ৩২*, মিরাজ ১৬*; জোসেফ ১০-০-২৫-১, শেফার্ড ১০-০-৩৮-০, আকিল ১০-৩-৪৫-০, পাওয়েল ১.৫-০-৮-০, কার্টি ০.১-০-১-০, মোটি ১০-২-২৩-৪, পুরান ৬.৩-০-৩৮-১)
ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০তে জয়ী
ম্যাচসেরা: তাইজুল ইসলাম
সিরিজসেরা: তামিম ইকবাল
Discussion about this post