অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেটে। সুরমা পাড়ের প্রায় পুরোটাই বন্যায় মানবিক বিপর্যয় হয়েছে। পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। শনিবার দুপুর গড়াতেই জানা গেছে-বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানি নেই, এমন কী নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। এই মানবিক বিপর্যয়ে দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্তরা। এ অবস্থায় পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। মানবতার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও সিলেটসহ বন্যা আক্রান্তদের জন্য প্রার্থনা করছেন। এই বিপর্যয়ে মনে কাঁদছে ক্রিকেটারদের। সংকটময় পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রার্থনা করলেন তারকা ক্রিকেটাররা।
সাকিব আল হাসান আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। খেলছেন অ্যান্টিগা টেস্টে। টেস্ট দলের অধিনায়ক তার ভেরিফাইড পেজে লিখলেন ‘ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের পাশেই আছে পুরো বাংলাদেশ। আসুন, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাই প্রার্থনায় রাখি সিলেটকে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেই মুশফিকুর রহিম। হজ করতে সৌদি আরবে তিনি। তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য দোয়া করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের এই অবস্থা থেকে রক্ষা করুন। আসুন আমরা সবাই ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আমাদের প্রিয়জনের জন্য প্রার্থনা করি।’
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল লিখলেন, ‘অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট-সুনামগঞ্জ আজ বিপর্যস্ত ভয়াবহ বন্যায়। বিভিন্ন ছবি দেখে এবং বন্যার খবর জেনে খুব খারাপ লাগছে। সবাই ধৈর্য রাখুন, মানসিকভাবে শক্ত থাকুন। যতটা সম্ভব সবাই দুর্গতদের পাশে থাকুন, পরস্পরের সহায়তা করুন। প্রার্থনা করছি যেন এই বিপদ দ্রুত কেটে যায়। আল্লাহ সবার সহায় হোন।’
ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা তাসকিন আহমেদ ফেসবুকে লিখলেন, ‘আমাদের মাতৃভূমির সৌন্দর্যের অন্যতম সেরা স্থান সিলেট-সুনামগঞ্জকে ভয়াবহ বন্যা গ্রাস করেছে! গণমাধ্যমে বন্যার ভয়াবহতা দেখে খুব কষ্ট লাগছে। আল্লাহ সবার সহায় হোক। আসুন সবাই বন্যা দুর্গতের পাশে থাকি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা আমরা যেন দ্রুত এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারি… আমিন।’
মন খারাপ মেহেদী হাসান মিরাজের। তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, বন্যায় প্লাবিত সিলেট বিভাগকে তিনি রক্ষা করুন। দ্রুতই যেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, মহান আল্লাহর কাছে আমরা সেই দোয়া করি। কর্তৃপক্ষ ও সামর্থ্যবান সকলে এই ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলায় হাতে-হাত রেখে কাজ করবেন ইনশাআল্লাহ। ফি-আমানিল্লাহ।’
লিটন দাসেরও মন খারাপ। তিনি লিখলেন, ‘মহামানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে সিলেটের বুকে। এই মুহূর্তে সিলেটে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ত্রাণ এবং উদ্ধার অভিযান অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতি মূহূর্তে পানি বাড়ছে। ঈশ্বর সবাইকে রক্ষা করুন।’
Discussion about this post