তিন বছর পর আবারও টেস্ট দলের নেতৃত্ব বুঝে পেলেন সাকিব আল হাসান। মুমিনুল হক দ্বায়িত্ব চালিয়ে যেতে নারাজ। তারপরই বাংলাদেশ টেস্ট দলের দায়িত্ব পেলেন সাকিব। দেশসেরা ক্রিকেটার নেতৃত্বে ফেরায় দারুণ রোমাঞ্চিত জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
রোববার একটি টেলিকম কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন তামিম। যেখানে তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি ওর অধিনায়কত্বের দুইবার খেলেছি। কারণ ও দুইবার হয়েছিল। ২০১১ এবং মাঝখানে লাস্ট টাইম যখন ছিল। সো এটা রকেট সায়েন্স না, আমরা সবাই জানি তার খুব ভালো ক্রিকেটীয় জ্ঞান আছে। আমি নিশ্চিত টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করা সহজ না। এই একটা সংস্করণে আমাদের ফলটা খুব বেশি আমাদের পক্ষে আসে না।’
সাকিব প্রসঙ্গে তামিম আরও বলেন, ‘আমি যখন অধিনায়ক হয়েছি আমি বলেছি যে আমাকে অনেক সময় দিতে হবে, আমার মনে হয় একই সাকিবের জন্য। তারও লম্বা সময় দরকার। এটা এমন একটি সংস্করণ যেখানে আমরা খুব শক্তিশালীও না, তার নেতৃত্ব দারুণ এবং তার পরিকল্পনা বা সবকিছুই, আমাদের সবার সহযোগিতা ইনশাল্লাহ থাকলে। মেবি ২-৩ বছরের দারুণ একটি টেস্ট টিম হবে।’
এর আগে ২০০৯ সালে সাকিবকে যখন অধিনায়ক করা হয় তার ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ পান তামিম। তিন বছর তাদের দুজনই ছিলেন জাতীয় দলের দায়িত্বে। তিন বছর পর আবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের দুজনকে অব্যহতি দেয়া হয়। ফের আবার জাতীয় দলের দায়িত্বে তারা। তবে ভিন্ন ফরম্যাটে। তামিম ওয়ানডের অধিনায়ক। সাকিব টেস্টে।
সেই ২০১৯ সালে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব লুকানোয় সাকিবকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তখন টেস্ট ও টি-টুয়েন্টির দায়িত্বে ছিলেন সাকিব। মুমিনুল হয়ে যান টেস্ট অধিনায়ক। যা সুখকর হয়নি তার জন্য। তিনি সরে যেতেই সাকিব ফিরে পেলেন টেস্টের নেতৃত্ব।
এর আগে নেতৃত্বে ১৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জয় মাত্র ৩টি আর হার ১১ ম্যাচ। এবার দ্বায়িত্ব নিয়ে পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আগামী ১৬ জুন অ্যান্টিগায় শুরু প্রথম টেস্ট। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৪ জুন থেকে। দুটি টেস্টই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
Discussion about this post