দুঃস্বপ্নের প্রহর হয়ে এসেছে আরও একটা দিন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন জ্বলছে। রোববার বিকাল অব্দি আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক মানুষ। লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে শনিবার রাত থেকে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা দেশবাসীর মতো শোকাহত ক্রিকেটাররাও।
শোক জানাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। পাশেও থাকতে বলছেন সবাইকে। রোববার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে পেস বোলার তাসকিন আহমেদ সবাইকে সাধ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ করলেন, ‘আসুন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ, ফায়ার ফাইটার, ডাক্তার, পুলিশসহ উদ্ধারকার্যে অংশ নেয়া সবার জন্য দোয়া করি। যে যেভাবে পারি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হেফাজত করো।’
চট্টগ্রামের ছেলে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তারও মন খারাপ ফেসবুকে লিখলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য’ বার্তা দিয়ে লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকলকে অনুরোধ করবো চট্টগ্রাম মেডিকেলে অবস্থান করার জন্য। সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক, প্রচুর পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। দয়া করে যে যেখানে আছেন সাধ্যের মধ্যে থাকলে এক্ষুনি ছুটে যান, আপনার এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। আপনার পরিচিত রক্তযোদ্ধা বন্ধুদেরও আসার জন্য অনুরোধ করুন। মানুষ মানুষের জন্য।’
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা লিখলেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি রইল সমমর্মিতা। আমি চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষদের অনুরোধ করি, তারা যেন হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। শুনেছি প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসুন। আপনার একটু সহযোগিতা, এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিবারকে। সকলে প্রার্থনা করি।’
শোকাহত বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের খবর শুনে খুবই মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি। শক্ত থাকো, সীতাকুণ্ড। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।’
জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও শোকাহত। তিনি লিখলেন, ‘আহতদের জীবন বাঁচানোর’ আকুতি জানিয়ে লিখেছেন, ‘জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন! চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। অসংখ্য রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের জন্য প্রচুর পরিমানে রক্তের প্রয়োজন। সকল গ্রুপের রক্ত দরকার হতে পারে, তাই আশেপাশের রক্তদাতা ও স্বেচ্ছাসেবী ভাইয়েরা সম্ভব হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে যান। রক্ত দিন, জীবন বাঁচান! আপনার এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। সবাই সবার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন প্লিজ। আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন। আমিন।’
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের তারকা সাব্বির রহমানও শোকাহত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীতাকুণ্ডে হতাহতদের জন্য শোকবার্তা দিয়েছেন তিনিও।
Discussion about this post