বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নিশ্চিত করেই সুখবর। সাকিব আল হাসানকে ফের বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সভায় টেস্ট দলের নেতৃত্বের ভার মুমিনুল হকের বদলে সাকিবকে দেওয়া হয়। টেস্ট দলের সহ অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন দাসকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত।
বাজে ব্যাটিং ফর্মের কারণে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেন মুমিনুল। তার সেই ইচ্ছের গুরুত্ব দিয়েছে বিসিবি। মুমিনুল টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে চান না বলে জানানোর পরই আলোচনায় আসে নতুন টেস্ট অধিনায়ক প্রসঙ্গ। যেখানে সবচেয়ে বেশি ছিল সাকিবের নাম। বিসিবি এই তারকার ওপরই আস্থা রাখল। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই তৃতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
এর আগেও সাদা পোশাকে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ২০১৯ সালে সাকিব নিষেধাজ্ঞায় পড়াতে হুট করেই টেস্ট অধিনায়কত্ব পান মুমিনুল। এরপর ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে তার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় ছাড়া নেই তেমন কোনো সাফল্য। অধিনায়ক হওয়ার আগে মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ৬৭ ইনিংসে ৪১.৪৮। অধিনায়ক হওয়ার পর গত ৩১ ইনিংসে গড় ২৯.৪২! ৫৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট রান ৩৫২৫। অধিনায়ক হওয়ার পর রান করেন ৯১২। তার মানে নেতৃত্ব কাবু করে ফেলছে তাকে!
মুমিনুল ৩১ মে বিসিবি সভাপতিকে জানিয়ে দেন অধিনায়কত্ব আর করতে চান না। তার সিদ্ধান্তকে মেনে নিল বিসিবি।
২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা চোটে পড়ায় প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব পান সাকিব। সেই মেয়াদে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পান একটিতে। তারপর ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হন সাকিব। ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে চলে যান মাঠের বাইরে। তার আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন আরও ৫ টেস্টে। সেখানে জয় দুই ম্যাচে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হার ও ৩ জয় সাকিবের।
Discussion about this post