প্রথমে অনিশ্চয়তার কারণ হয়ে এসেছিল- করোনা। ধরেই নেওয়া হচ্ছিল চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। কিন্তু এরপরই খবর আসে-করোনা মুক্ত বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে তার ফিটনেস নিয়ে এরপরই দেখা দেয় শঙ্কা। খোদ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও এনিয়ে ছিলেন দ্বিধায়। তবে টেস্ট ম্যাচটি শুরুর একদিন আগে মিলল সুখবর-চট্টগ্রামে রোববার থেকে শুরু সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলবেন সাকিব।
টেস্ট শুরুর আগে এমনই সুখবর দিলেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাফ বললেন, ‘হ্যাঁ, তিনি খেলবেন।’ এর আগে করোনা নেগেটিভ হয়ে হোটেলে ফিরেন একদিন আগেই। শনিবার সকালে নামেন অনুশীলনেও। কথা বলেন বলেন কোচদের সঙ্গে।
তারপরই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বললেন, ‘অনুশীলনে সাকিব ভাইকে দেখে তো আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে।’ শনিবার বোলিং-ফিল্ডিং ঝালিয়ে নেন সাকিব। তার ব্যাটিং দেখেই এই অলরাউন্ডারের শারীরিক অবস্থা বুঝে নিয়েছে দল। চট্টগ্রাম টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত সাকিব।
এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে কোভিড পজিটিভ হন সাকিব। তারপরই প্রথম টেস্ট থেকে তার ছিটকে যাওয়ার খবর জানায় বিসিবি। কিন্তু বৃহস্পতি ও শুক্রবার মিলিয়ে তিন দফা পরীক্ষায় প্রতিবারই নেগেটিভ সাকিব। তারপর শুক্রবার রাতেই যোগ দেন চট্টগ্রামে, মুমিনুলদের সঙ্গে।
শনিবার যদিও অনুশীলনে সাকিবের কোনো ফিটনেস পরীক্ষা হতে দেখা যায়নি। তারপরও মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে তা-ই মনে হয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি ‘ইয়ে’ লাগে, সাকিব ভাইয়ের সাইকোলজি অনেক শক্তিশালী। উনি যদি চায় তো উনি খেলতে পারবেন। আপনারও জানেন সেটা। আমার চেয়ে আপনারাও ভালো জানেন। আমার কাছে ওটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
সাকিবকে নিয়ে মুমিনুল আরও বলেন, ‘আমার কাছ মনে হয়, একটা খেলোয়াড়ের ব্যাটিং দেখলেই অনেক কিছু বোঝা যায়। তার সাইকোলজি অনেক কিছু বোঝা যায়। আপনারাই মনে হয় আমার থেকে বেশি দেখেছেন, আমি তো আমার ব্যাটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আপনারা ভালো বুঝতে পারবেন। উনি শতভাগ ফিট। খেলার জন্য ফিট, যেটা আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে।’
১৫ মে হবে মাঠের লড়াই। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু রোববার। এরপর দ্বিতীয় ও শেষটি শুরু আগামী ২৩ মে, মিরপুরে।
Discussion about this post