ঈদ আনন্দে মেতেছে বাংলাদেশ। লম্বা ছুটিতে শহর ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন অনেকেই। এই তালিকায় আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। এবার ব্যস্ততা নেই। ঘরোয়া ক্রিকেট শেষ। আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বিরতি। করোনা শঙ্কা কাটিয়ে তাইতো নাড়ির টানে ছুটলেন মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হকরাও। গেল বছরও যখন কোভিড শঙ্কায় কেটেছে সময়। কিন্তু এবার সুযোগ মিলতেই প্রায় সবাই বাড়িতে চলে গেলেন।
রোববার জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক কক্সবাজারে চলে গেছেন। পর্যটনগরীতে তার বাড়ি জেলার বৈদ্যেরঘোনায়। টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন তার বাড়ি ময়মনসিংহে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ডাক পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেনও চলে গেছেন তারবিাড়ি ময়মনসিংহে।
বরাবরই সময় পেলে মুশফিকুর রহিম ছুটে যান তার গ্রামের বাড়িতে। এবারও বাবা-মার সঙ্গে ঈদ কাটাতে বগুড়ায় চলে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান ঢাকা ও মাগুড়া দুই জায়গা মিলিয়ে ঈদ করবেন। মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন ঈদে বরিশাল। ছেলেকে নিয়ে প্রথমবার গ্রামে ঈদ করতে গেলেন তিনি।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবারের ঈদে থাকবেন ঢাকাতে। মাশরাফি বিন মর্তুজাও ঢাকাতেই ঈদ করবেন। ঈদে বিশ্রাম শেষে তিনি যাবেন নিজ শহর নড়াইলে। এছাড়া মোহাম্মদ মিথুন, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব থাকবেন ঈদের ছুটিতে ঢাকাতেই। তাসকিন চিকিৎসার জন্য ঈদের পরদিন যাবেন লন্ডনে।
এদিকে কোভিড সতর্কতায় এবারও ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটারদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ ঈদের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ১৫ মে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৩ মে শুরু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
তার আগে ৮ মে রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে মুমিনুল হকদের। ৮ মে ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা।
Discussion about this post