আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৩ বেশি করে আলোচিত হবে-শচীন টেন্ডুলকারের অবসর। রঙীন আর রেকর্ডে ঠাসা এক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন ভারতীয় ওই কিংবদন্তি। বছরের শেষ দিকে এসে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছে অস্ট্রেলিয়া। টেস্টে একনম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকা।
অবসরে শচীন টেন্ডুলকার
ভাবা যায় দীর্ঘ ২৪ বছরের ভ্রমন! ক্লান্তি পেয়ে বসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি যে শচীন টেন্ডুলকার। তরুনদের সঙ্গেও বেশ মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ বেলায় কেমন যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাইতো ইতি টানলেন রঙীন এক ক্যারিয়ারের। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হয়েছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০০ টেস্ট এবং ৪৬৩ ওয়ানডে খেলে সেই ক্যারিয়ার শেষ করেন তিনি। নভেম্বরে ঘরের মাঠ মুম্বাইতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার শেষ টেস্ট খেলেন শচীন। যে টেস্টের একটি মাত্র ইনিংসে তিনি করে যান ঝকঝকে ৭৪ রান। শচীনের রেকর্ড বইয়ে জমা আছে সর্বাধিক টেস্ট ও ওয়ানডে রান। সর্বাধিক টেস্ট এবং ওয়ানডে সেঞ্চুরি। যার সংখ্যা ঠিক ১০০।
আরো বিদায়
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আরও অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসি, নিউজিল্যান্ডের পেসার ক্রিস মার্টিন এবং ইংল্যান্ড অফ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান। হঠাৎ করেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। তার বিদায় কষ্ঠ দিচ্ছে ভক্তদের।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভারতের
বছরের ফব্র“য়ারি-মার্চে নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে ৪-০ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ করে ভারত। জুন মাসে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ধোনির দল। টানা পাঁচ ম্যাচ জেতে তারা। ফাইনালে ভারত হারায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে। নভেম্বরে ভারত দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে হারায় ২-০ ম্যাচে।
সেরা ব্যাটসম্যান ভিলিয়ার্স
২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং স্তম্ভ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। গতবছর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আট টেস্টে ৮৫৯ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি ২৬ ওয়ানডেতে করেছেন ১১৬৩ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ভিলিয়ার্স। চলতি বছর মিসবাহদের বিপক্ষে করেছেন পাঁচ সেঞ্চুরি। টেস্টে তিনটি, ওয়ানডেতে দুই।
সেরা বোলার সাঈদ আজমল
২০১৩ সালে টেস্টে দু’বার ১০ কিংবা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাঈদ আজমল। চলতি বছর তিনি ওয়ানডেতে সর্বাধিক উইকেট দখলকারী। টেস্ট কিংবা ওয়ানডে, দুই ধরনের ক্রিকেটেই অধিনায়ক মিসবাহর অন্যতম প্রধান ভরসা আজমল। ফেব্র“য়ারিতে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে তিনি ১০ উইকেট পান ১৪৭ রানে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বছরের শেষ দিকে আরব আমিরাতে দুই টেস্টে আজমল পান ১২ উইকেট।
http://youtu.be/CfCBWUkWzXM
http://youtu.be/Es8Lp6R8hkY
http://youtu.be/coQ7GG1gy1g
Discussion about this post