স্বপ্নের মতো শুরু। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ধরা দিতে যাচ্ছিল জয়! গত ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করেন নাঈম ইসলাম। আরেকটা সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু একটুর জন্য হলো না। দলও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দেখল হার। তাদের ৪৯ রানে হারাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শেখ জামাল। তারা ইমরুল কায়েসের শতরানে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ২৯৭ রান। জবাব দিতে নেমে লিজেন্ডসরা ৪৭.৩ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে ২৪৮ রান। ৯৫ রানে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম।
ভারতে চিকিৎসকের পরামর্শ শেষে এই ম্যাচ দিয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ফেরেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে রূপগঞ্জের হয়ে ফেরাটা রঙিন হয়নি এই তারকা ক্রিকেটারের। দিনের প্রথম ভাগে কথা বলল ইমরুল কায়েসের ব্যাট। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলা ইমরুল। তিনি খেলেন ১২৭ বল। চারের মার ছিল ১১টি। ইমরুল হাফ সেঞ্চুরি করেন ৭০ বলে। ১৩৯ বলে ১২২ রানে থামেন তিনি।
বিপিএলের পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে এই ম্যাচেই ফিরলেন মাশরাফি। এই ম্যাচে জামালের ওপেনার সাইফ হাসানও পেতে যাচ্ছিলেন শতরান। কিন্তু ৭৮ রানে তাকে ফেরান হাসান রানা। নূরুল হাসান সোহানও লড়েছিলেন। তিনি ৬৪ রান তুলে শরিফুল ইসলামের বলে আউট।
ফেরার ম্যাচে মাশরাফি ১০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মেহেদী হাসান রানা ৫৪ রানে নেন ২ উইকেট।
এরপর জবাবে নেমে শুরুতেই ফেরেন রূপগঞ্জের ওপেনার আব্সাস মুসা (২)। রকিবুল হাসানও একই রানে ধরেন সাজঘরের পথ। তারপর তানজিদ হাসানকে নিয়ে পথ দেখান নাঈম ইসলাম। তানজিদ ৫৫ বলে ৪০ রান তুলে ধরেন সাজঘরের পথ। লড়েছিলেন দলের ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানি। তিনি ৭০ বলে ৫৯।
এরপর একাই লড়ে যান নাঈম। মনে হচ্ছিল আরেকটি শতক পাবেন তিনি। কিন্তু ১১১ বলে ৯৫ রানে ফেরেন। শেষটাতে সাব্বির রহমান যা একটু লড়লেন। তার ব্যাটে ২৯ বলে অপরাজিত ২৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৯৭/৫ (সৈকত ৬, সাইফ ৭৮, ইমরুল ১২২, সোহান ৬৪, রসুল ১১, জিয়াউর ৬*; মাশরাফি ১০-০-৬১-১, শফিউল ১০-০-৭৩-১, মেহেদি রানা ১০-০-৫৪-২, নাঈম ১০-০-৩১-০, নাবিল ৪-০-৩২-০, চিরাগ ৬-০-৪৪-১)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৭.৩ ওভারে ২৪৮/১০ (মুসা ২, তানজিদ ৪৯, রকিবুল ২, নাঈম ৯৫, চিরাগ ৫৯, সাব্বির ২৫*, মাশরাফি ৪, তানবীর ১, মেহেদি রানা ০, শফিউল ০, নাবিল ১; সুমন ৫.৩-০-২৩-০, রসুল ৮-০-৩৩-২, মৃত্যুঞ্জয় ৬-০-৪৬-২, সাইফ ৩-০-৮-০, জিয়াউর ৩-০-২৩-০, সানজামুল ১০-০-৪৭-৫, তাইবুর ৮-০-৪৫-০, সৈকত ৪-০-২১-০)
ফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৪৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ইমরুল কায়েস।
Discussion about this post