ইনজুরির সঙ্গে তার সম্পর্কটা অনেক পুরোনো। এরপর ফিরে আসার গল্পটাও সমৃদ্ধ। হার মানতে জানেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা। একবার দুই বার সাতবার অস্ত্রোপচার করেও ফিরে এসেছেন এই পেসার। সময়ের পথ ধরে হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি। সেই মাশরাফি অস্টমবারের মতো সার্জারির পথে ছিলেন। কিন্তু স্বস্তির খবর-আপাতত সেই শঙ্কা কেটে গেছে। এবার অস্ত্রোপচার লাগছে না। ইনজুরির শঙ্কা পেছনে ফেলে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় মাশরাফি। মাঠ মাতাতে চান লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে এই দলেই নাম লিখিয়েছেন ম্যাশ।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলেন মাশরাফি। তখনই পায়ের ইনজুরিতে পড়েন। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে বিপিএলের পরই ভারতীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মাশরাফি। সেখানেই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ শেষে শুনলেন সুখবর- অষ্টমবারের মতো অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এটাই জানালেন মাশরাফি।
সার্জারির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও এই দফায় বেঁচে গেলেন মাশরাফি। কোমরের ডিস্কের চিকিৎসা নিতে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে যান তিনি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে দেখে, একাধিক পরীক্ষা শেষে জানান এখনই অস্ত্রোপচার লাগবে না এখন। তবে স্বাভাবিক চিকিৎসায় চলবে পুনর্বাসন। মাঠে ফিরতেও পারবেন।
মাশরাফি বিন মুর্তজা তার নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘লাস্ট ৩টা দিন অর্থোপেডিক ডাক্তার, সার্জন, স্পোর্টস মেডিসিন ডাক্তার এবং ফিজিওর সাথে সময় দিয়ে অবশেষে ৮ নম্বর সার্জারি থেকে বিরত থাকলাম। হয়তো পরে কোনো এক সময় দেখা যাবে। আবারও সেই রিহ্যাব শুরু, এর শেষ কোথায় আল্লাহ জানে। আপাতত মাঠ ডাকছে (ডিপিএল) । বাকিটা আল্লাহ ভরসা। লিজেন্ড অব রুপগঞ্জ, ইনশাল্লাহ সি ইউ অন গ্রাউন্ড।’
মানে ঢাকা লিগে চোখ তার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে এবার খেলবেন মাশরাফি। দলবদলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব থেকে রূপগঞ্জে এসেছেন বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক। এই দলের হয়ে সেরাটা দিয়েই লড়তে চান তিনি।
মাশরাফি সবশেষ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেন ২০২০ সালের ১৬ মার্চ ঢাকা লিগে। ৭ ওভারে ১ মেডেনে ৩৪ রান দিয়ে অবশ্য ছিলেন উইকেটশূন্য। দুই বছর পর ফের পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ফিরতে প্রস্তুত মাশরাফি!
Discussion about this post