স্বপ্নের মতো এক জয়। ধ্বংসস্তুপ থেকে এভাবে মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়ানোর গল্প কমই লেখা হয়েছে। ২১৫ রানের জবাবে ৪৫ রানে শেষ ৬ উইকেট। লিটন দাস, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায় নিতে মনে হচ্ছিল বুঝি চট্টগ্রামের মাঠে আফগানদের কাছে হারতেই যাচ্ছে বাংলাদেশ।
ঠিক এ অবস্থায় আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়লেন বিস্ময়কর এক জুটি। তার পথ ধরেই দল পেলো বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতল ৪ উইকেটে।
এই ম্যাচে একাধিক কীর্তি গড়লেন আফিফ-মিরাজ। যা কীনা রেকর্ডবুকে লেখা হয়ে গেল। ১৭৪ রান সপ্তম উইকেটে আফিফ ও মিরাজের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫১ বছরে ৪৩৫৭ ম্যাচের ইতিহাসে রান তাড়ায় সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি এটি। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও ক্রিস ওকসের ১৩৮ রান।
আফগানদের জবাবে বাংলাদেশ ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই শুরু হয় এই জুটির পথচলা। ১৭৪ রানের ওই জুটি গড়েন আফিফ ও মিরাজ। ৫০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর পর এটিই ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ জুটি।
সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড টপকে নতুন উচ্চতায় আফিফ ও মিরাজ। তারা গড়েন ১৭৪ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে করেন ১২৭।
সাত নম্বরে নেমে আফিফ করেন ৯৩ রান। আটে নেমে মিরাজ ৮১ রান। দুজন তুলেন ১৭৪। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে কোনো দলের সাত ও আট নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানের মোট রানে শীষেৃ বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার ১৭১ ছিল আগের রেকর্ড।
আফিফ অপরাজিত ৯৩, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার প্রথম ফিফটি। বাংলাদেশের হয়ে সাতে নেমে সর্বোচ্ছ। সাত নম্বরে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ৭৩ রান।
মিরাজ আট নম্বরে নেমে অপরাজিত ৮১। সফল রান তাড়ায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড এটিই।
Discussion about this post