ক্রিকেটে এমন দৃশ্য নতুন নয়। তবে বিরল তো বটেই। আর বাংলাদেশ ক্রিকেটে এবারই প্রথম দেখা গেল এমনটা। সংবাদ সম্মেলনে পাশাপাশি দুই ভাই। একজন অধিনায়কের নির্ধারিত চেয়ারে। পাশে দাঁড়িয়ে বড় ভাই সঞ্চালকের ভূমিকায়। একেই বলে পেশাদ্বারিত্ব। না, হলে এমন দৃশ্য দেখার কথা ছিল না।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনে নাফিস ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) চাকরি করছেন। এখন জাতীয় দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের মাঠে পাকিস্তান সিরিজ ও ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তখন চোটের সেই দুই সিরিজে ছিলেন না তামিম ইকবাল। এবার জাতীয় দলে দুই ভাইয়ের দেখা হয়ে গেল আফগানিস্তান সিরিজে।
অবশ্য তারা দুই ভাই যে এভাবে খেলায় জড়িয়ে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তাদের বাবা ইকবাল খানের স্বপ্ন ছিল, তার দুই ছেলে জাতীয় দলে খেলবে একইসঙ্গে। অবশ্য তামিম যখন জাতীয় দলে পা রাখেন, থকন নাফিস দলের বাইরে।
এবার চট্টগ্রামের এই দুই ভাইকে দেখা গেল একসঙ্গে। অবশ্য ভিন্ন ভূমিকায়। এভাবে নতুন পেশাদ্বারিত্বে একসঙ্গে তারা। তামিম মঙ্গলবার বলছিলেন, ‘এটা একটা এমন জায়গা, আমাদেরকে খুব খুব বেশি পেশাদার হতে হবে। হ্যাঁ, তিনি আমার ভাই। আমাদের সম্পর্ক আছে। তবে জাতীয় দলে দায়িত্ব পালন করার সময় ম্যানেজার হিসেবে তাকে আমার সম্মান করতে হবে, তারও আমাকে সম্মান করতে হবে খেলোয়াড় হিসেবে। এটা পেশাদার জায়গা যেখানে সম্পর্ক আসে পরে, পেশাদারিত্ব প্রথমে।’
গণমাধ্যমে নাফিস বলছিলেন, ‘সবাই খুশি যে আমরা একসঙ্গে আছি এখানে। বাবা বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন। তিনি সবসময় চাইতেন আমাদেরকে একসঙ্গে জাতীয় দলে দেখতে। খেলোয়াড় হিসেবে না হলেও তো আজ আমরা একসঙ্গে আছি! আম্মুও দারুণ খুশি। উনারও স্বপ্ন ও ইচ্ছা ছিল অনেক, আমরা জাতীয় দলে খেলব একসঙ্গে। এখন অন্যভাবে একসঙ্গে আছি, লম্বা সময় যেন থাকতে পারি, এই দোয়া করছেন। সবার কাছে দোয়া চাই আমিও।’
চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। তারপরই ঢাকায় ৩ মার্চ হবে প্রথম টি-টুয়েন্টি। দ্বিতীয় ও শেষটি হবে আগামী ৫ মার্চ। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে সিরিজের তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
Discussion about this post