ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (বিপিএল) মানেই যেন বিতর্কের আরেক নাম! প্রতিবারই কিছু না কিছু নিয়ে উত্তাল হবেই। এবার এই করোনা কালে নানা সীমাবদ্ধতা সঙ্গী করে চলছে মাঠের লড়াই। কিন্তু সেখানেও মাঠের বাইরের ঘটনায় উথাল-পাতাল চারপাশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে হঠাৎ করেই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ঘটনার শুরু। এরপর একের পর এক নাটক!
মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ঘটনায় বিব্রত বিপিএলের আয়োজক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তবে এখনই এই বিষয় নিয়ে কিছু করতে চান না তারা। ঢাকায় ফিরলেই মিরাজ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফ্রাঞ্চাইজিকে নিয়ে শুনানিতে বসার কথা জানালেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। অবশ্য এখন অব্দি সন্দেহজনক কিছু পাননি তারা।
মিরাজকে কোনো কারণ ছাড়া অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হলেই উত্তাপ ছড়ায়। এরপর মিরাজ চট্টগ্রামের হয়ে বিপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্দরনগরী ছাড়তে প্রস্তুত হন। বলঅ হচ্ছিল হেড কোচ পল নিক্সনের পর্যবেক্ষণে নাকি মিরাজকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নিক্সনের সঙ্গে কথা বলে মিরাজ জানতে পারেন, এ ঘটনা মিথ্যে। এ কারণেই বিসিবিকে জানিয়ে টিম হোটেল থেকেও বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে তাকে বুঝিয়ে, আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে মিরাজ গণমাধ্যমে এনিয়ে সরব হন। বেরিয়ে আসেন বায়ো বাবল থেকে
এনিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন,‘মিরাজেরও এখানে ভুল আছে। ম্যানেজমেন্টেরও ভুল আছে। দুই পক্ষেরই কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হয়। মিরাজও যে কাজটা করেছে, এত বড় মাপের খেলোয়াড় হয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে এই টুর্নামেন্টের ভেতরে তার ভূমিকাটা ঠিক রাখা দরকার ছিল। তার অপেক্ষা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমর ডিসিপ্লিনারি কমিটি ছিলাম একটু অপেক্ষা করতে পারত। ফ্র্যাঞ্চাইজিরও এখানে সমস্যা আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও ছাড় দেব না। হেয়ারিং হবে কিছুদিনের মধ্যে। দুই পক্ষকে নিয়ে আমরা হেয়ারিং করব। এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরও ধৈর্য ধরা উচিত ছিল। নিজেরা আলাপ করে দুই পক্ষই সমঝোতা করে একটা কিছু করতে পারত। এটা এত বড় পর্যায়ে যাওয়ার জিনিস ছিল না।’
অন্যদিকে বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার এনিয়ে বলছিলেন, ‘মিরাজ অধিনায়ক হিসেবে প্রতিটি ম্যাচের আগেই বলছিল ও ওপেন করতে চায়। প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তো জেতার জন্য দল করে। তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। অবশ্যই এটা পেশাদার ভাবে সামলানো উচিত ছিল। ও ওপেনিং কেন চাচ্ছে? ওর মতামত কি। কোচ কী বলে, সহকারী কোচ, কম্পিউটার অ্যানলিস্ট, বোলিং কোচ আছে, দলের ম্যানেজার আছে, সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কিন্তু জিনিসটা এভাবে হওয়াটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। ফ্র্যাইঞ্চাজিও যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে, মিরাজও যেভাবে জৈব সুরক্ষা বলয় ব্রেক করে বাইরে এসে বিবৃতি দিয়েছে ঠিক কোন ভাবেই এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’
অবশ্য মাঠে নামার তিন ঘণ্টা আগে মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় সন্দেহজনক কিছু দেখছে না আয়োজকরা। এর আগে এমন এক ঘটনা থেকেই ফিক্সিংও হয়েছিল।। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের অধিনায়ক মাশরাফিকে সরিয়ে আশরাফুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর আশরাফুল ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে যান।
এবার কী হতে যাচ্ছিল তা হয়তো সময়ই বলে দেবে!
Discussion about this post