সময়টা ভাল-মন্দ মিলিয়ে যাচ্ছিল তার। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরই টালমাটাল হয়ে যায় রাসেল ডমিঙ্গোর চেয়ার। মনে হচ্ছিল এ দফা চাকরি বাঁচাতে পারবেন না তিনি। কিন্তু প্রথমবারে মতো নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতে দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। সিরিজ ড্র করল দল। যা কীনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে সোনালী সাফল্য। তার পথ ধরে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর চাকরি থেকে গেলো।
কিন্তু বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হয়েছে- ডমিঙ্গোর চাকরি এখনই যাচ্ছে না। সিলেটে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের খেলা দেখতে গিয়ে তেমনটাই জানালেন, বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
গণমাধ্যমে জালাল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সভাপতিও বলেছেন, সামনে যেহেতু আমাদের হাতে কোনো কোচ নেই এবং হেড কোচকে একটা চুক্তির আওতায় এনেছি, আমরা তাকে নিয়েই চালিয়ে যাব।’
এখন অবশ্য এক মাস কোনো আন্তর্জাতিক খেলা নেই বাংলাদেশের। বিপিএল নিয়ে থাকবে ব্যবস্তা। এই সময়ে নিউজিল্যান্ড থেকেই ছুটিতে যাচ্ছেন বিদেশী কোচিং স্টাফরা। এরপর আসছে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান দল। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকায় সফর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জেমি সিডন্সের যোগ দেবেন। ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল বলেন, ‘এখন খেলার ব্যস্ত সূচি। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে বিপিএল, এরপর আফগানিস্তান সিরিজ। তারপর দল চলে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ব্যস্ত সূচির মধ্যে এখন পর্যন্ত ডমিঙ্গো বহাল আছেন। তবে আমাদের মাথায় পুরো কোচিং প্যানেল নিয়ে চিন্তা আছে। গিবসন চলে গেলেন, সিডন্স আসবেন; আমাদের ঢালাওভাবে সাজাতে হবে।’
এখন হেড কোচ থাকছেন ডমিঙ্গোই। তবে পেস বোলিং কোচের পদ খালি ওটিস গিবসন থাকছেন না। জালাল ইউনুস বলছিলেন, ‘যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে, তিনি বলেছেন জানুয়ারিতে পরিবর্তন হতে পারে। আমরা সবাই মিলে, শুধু ক্রিকেট অপারেশন্সই না, নির্বাচকের মতো পদও বোর্ড থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তে হয়। এজন্য আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে।’
Discussion about this post