তিনি বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার। যুবাদের বিশ্বজয়ের অন্যতম নায়ক। নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট মিশনে জায়গা পেয়েই মেলে ধরলেন যোগ্যতার পরিধি। ওপেনার হিসেবে নেমে সিরিজের প্রথম টেস্টেই বাজিমাত। মাহমুদুল হাসান জয় ওপেনার হিসেবেই গড়লেন এমন রেকর্ড, যা করতে পারেননি বাংলাদেশের আর কেউ। টেস্ট দলের হয়ে প্রথম সফরেই জয় নাম লেখালেন রেকর্ডের পাতায়।
রোবার কিউইদের বিপক্ষে তিনি ১৬৫ বলে করেন ফিফটি। দিন শেষে ২১১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিনে ফের নামবেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ওপেনার নিউজিল্যান্ডে খেললেন দেড়শর বেশি বল।
ধৈর্যের পরীক্ষায় প্রথম দফায় পাশ তিনি। অবশ্য বয়স ২১ হলেও এমন পরীক্ষা দিয়েই উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। প্রতিভার কমতি নেই তার। এবার সুযোগ পেয়ে চেনালেন নিজেকে। মাহমুদুলের পাশাপাশি ফিফটি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জন প্রায় ৪০ ওভারে ১০৪ রানের জুটি গড়েন।
এই টেস্টে তিন উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, মাতলেন জয়ের প্রসংশায়। বলেন, ‘আমাদের দলের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক দিক এটা। অনেক ভালো ব্যাট করেছে সে, সময় নিয়েছে। ও যে নতুন খেলোয়াড়, এরকম কিছু মনে হচ্ছিল না ওর ব্যাটিং দেখে। নিজেকে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমরা জানি যে সে খুব ভালো ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের একজন। ওখানে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে। ভালো খেলেই জাতীয় দলে এসেছে। কেবলই শুরু, বাংলাদেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে ওর, আমি মনে করি। দলের সবাই তার প্রশংসা করেছে। যেভাবে খেলেছে, দলের জন্য যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি তার ক্যারিয়ারের জন্যও।’
সাড়ে ৪ ঘণ্টা ব্যাট করে অপরাজিত। লড়ছেন শতকের জন্য। তার আগেই অবশ্য মন জয় করে নিয়েছেন তরুণ জয়!
Discussion about this post