হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে। তবে কি সরে দাঁড়াবেন না আকরাম খান? কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় মনে হচ্ছে নাটকীয়তার দেখা মিলতেও পারে! অবশ্য এর আগেই আকরাম নিশ্চিত করেছেন বিসিবির অপারেশেন্স বিভাগের দায়িত্ব ছাড়ছেন আকরাম খান। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানান তার সহধর্মিণী সাবিনা আকরাম। এরপর আকরাম জানান, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবেন।
কিন্তু বুধবার আকরাম প্রসঙ্গে বোর্ড সভাপতি পাপন বলেন, ‘নতুন কমিটিই তো দেইনি, আকরাম ছাড়বেটা কী?’ তার ভাষ্য, ‘এখানে কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে। প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা এখনো কমিটি কাউকে দেইনি, তাহলে এটা ছাড়বে কী। যেটা ছিল, সেটা শেষ। শেষ হওয়ার পর সেটা কি আবার ছাড়া যায় নাকি? বিষয় যেটা হচ্ছে, এই যে অন্তর্বর্তীকালীন সময় সেটা আকরাম চালিয়ে যাচ্ছিল।’
এখানেই শেষ নয়, নাজমুল হাসান পাপন আরও বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমে শুনলাম যে ও থাকতে চাচ্ছে না। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়টায় থাকতে চাচ্ছে না। তারপর ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ও বলল, না। এই সময়টা না, যেহেতু সে আট বছর ধরে ছিল। এটাতে প্রচুর কাজ। প্রচুর সময় দিতে হয় অপারেশন্সে। সে অন্য কোনটায় দিলে, সে মনে করছে এখানে যে পরিমাণে সময় দেওয়া দরকার সেটা তার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার প্রেফারেন্স তাকে অন্য কোনো জায়গায় দিলে তার কোনো আপত্তি নেই। থাকব না না, অন্য কিছু না। আবার এটাও বলেছে, আপনি যেটায় দেন সেটায় থাকব। এমন না যে, সে ছেড়ে দিচ্ছে, থাকব না। নাথিং লাইক দ্যাট। সে তার সমস্যার কথা বলেছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এখন অনেক কিছুই কমপ্লিকেটেড হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সে মনে করছে তার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে সময় দেওয়া। কারণ তার পরিবার ও অন্য দিকও আছে।’
এরমধ্যে পাপনের সঙ্গে কথা বলার পর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ছাড়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছিলেন আকরাম খান। এ অবস্থায় আগামী শুক্রবার কমিটি করার সময়ই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। বিসিবি সভাপতি অবশ্য বলেন, ‘ও বলে নাই, ও করবে না। বলেছে আপনার সিদ্ধান্ত। ও বলেছে আট বছর আছে, এটাতে প্রচুর কাজ। সে বলেছে এটাতে যেহেতু এত কাজ, অন্য কোনটায় দিলে তার আপত্তি নাই। আবার এটাও বলেছে, আপনি যেটা বলেন সেটাই ফাইনাল। এমন না যে, ছেড়ে দিচ্ছে, ছেড়ে দিবে, নাথিং লাইক দ্যাট। সে তার সমস্যার কথা বলেছে। এখন যে পরিমাণ তার সম্পৃক্ততা। বিশেষ করে বায়ো বাবলের জন্য, কোভিড পরিস্থিতিতে বিষয়গুলো জটিল হয়ে গেছে। সে মনে করছে, তার জন্য কঠিন হবে, সময় দেওয়াটা। পরিবারকে তার সময় দিতে হবে ইত্যাদি।’
২০১৪ সালে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান হয়েছিলেন আকরাম। পরের বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় আসে এই দ্বায়িত্বে। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার চেয়ারম্যান হয়ে ফেরার পর দায়িত্ব পালন করলেন টানা ৬ বছর। গত অক্টোবরে সবশেষ বোর্ড নির্বাচন হয়েছে। এরপর নতুন করে পদ বণ্টন করা হয়নি। অবশ্য নির্বাচিতরা পরিচালকরা নিজ নিজ বিভাগেই বহাল আছেন।
Discussion about this post