নেতৃত্বটা ঠিক উপভোগ করতে পারছেন না তিনি! করবেনই বা কী করে সাফল্য যে নেই মুমিনুল হকের। মাঠে অর্জন না থাকলে একজন অধিনায়ককে হতাশা স্পর্শ করতেই পারে। টানা দুই বছর বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিলেও প্রাপ্তি বলতে তেমন কিছু নেই।
২০১৯ সালে ভারতের ইন্দোরে ইনিংস ব্যবধানের হার দিয়ে শুরু। এরপর জয় তো সোনার হরিণ। গত দুই বছরে করোনার সঙ্গে লড়ে
১১টি টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। যার জয় দুটি। আর সেই জয় এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ড্র। এখানেই শেষ!
সব শেষ দেশের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দল হারল টানা দুই টেস্টে। এই ব্যর্থতা সঙ্গী করে বাংলাদেশ দল এখন নিউজিল্যান্ড সফরে। যেখানে নতুন বছরের প্রথম দিন দল শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ৯ জানুয়ারি কিউইদের সঙ্গে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সন্দেহ নেই কঠিন পরীক্ষায় টাইগাররা।
মুমিনুলের জন্য দুঃসংবাদ দেশের বাইরে এই মিশনে তিনি পাচ্ছেন না দুই সেরা তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। সাকিব এক বছর নিষিদ্ধ হওয়ায় নেতৃত্ব পান মুমিনুল। এই সময়ে তিনি সাকিবকে পেয়েছেন মাত্র তিটি টেস্ট। তামিম খেলেন ৬ টেস্ট।
এরমধ্যে মুমিনুলকে গত দুই বছরে টেস্টে যা একটু স্বস্তি দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১০ টেস্টে তিনি করেন ৮২৭ রান। এবার কিউই সফরে দলের সঙ্গে আছেন মুশি। আছেন গত ১০ টেস্টে ৩৯ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলামও।
তারপরও স্বস্তি আছে কি কিউই সফরে? কতোটা চাপ অনুভব করছেন মুমিনুল? বলছিলেন, ‘দলকে নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন কি না? না, না, কঠিন না। আমার কাছে মনে হয়, একটু চ্যালেঞ্জিং। আমি চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি বলেই এই চেয়ারে বসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি। আমি মনে করি, এটা এক ধরনের প্রিভিলেজ।’
সঙ্গে আরও যোগ করলেন, ‘দল যখন এরকম একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়, তখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান আর কীভাবে আপনি দেখেন। এটা চ্যালেঞ্জিং ও সামনেও আরও চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আমি এটাকে ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছি। আর চাপ পেয়ে বসেনি। ভালো, ভালো জিনিসগুলো নিয়ে সামনে এগোতে হবে।’
এই মনোবল নিয়েই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দেশ ছেড়েছেন মুমিনুল হকরা। এবার তিনদিনের আইসোলেশনসহ সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন। সাত দিনে তিনটি কোভিড টেস্ট। নেগেটিভ হলে মিলবে মুক্তি। এরপর প্রস্তুতি ম্যাচ নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ দল
মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার, কাজী নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, ফজলে রাব্বী ও নাঈম শেখ।
Discussion about this post