বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটার তিনি। সাফল্যের বড় একটা ধাপ পেরিয়ে এবার অভিষেক হলো টেস্টের অভিজাত অঙ্গনে। চট্টগ্রাম টেস্টে অবশ্য মাহমুদুল হাসান জয়ের অভিষেক হয়ে যেতে পারতো। হয়নি, সাইফ হাসান টিকে যান। এবার তিনি টাইফয়েডের জন্য ছিটকে যেতেই সুযোগ মিলল জয়ের। শনিবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্যাপ বুঝে পেলেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গী হয়ে ঢাকায় ইনিংস উদ্বোধন করবেন জয়। বাংলাদেশের ৯৯তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো জয়ের। আগের টেস্টই অভিষেক হয় ইয়াসির আলী রাব্বীর। সাকিব আল হাসান দলে ফেরায় ঢাকায় নেই তিনি।
তবে আলোচনার কেন্দ্রে যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার জয়। যিনি বয়সভিত্তিক ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের হয়ে দারুণ খেলে পা রাখলেন জাতীয় দলে। চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগেও বেশ খেলেছেন জয়। ২ সেঞ্চুরি ও ১ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৪৫ রান করেছেন। সর্বোচ্চ রান ১২১, গড় রান ৫৭.৫০।
এদিকে জয়ের অভিষেকের ম্যাচে সকাল বেলাতেই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট জ্বলে উঠেছে। মিরপুর টেস্টের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। চোট কাটিয়ে দলে ফিরলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফিরেছেন পেস বোলার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। চট্টগ্রাম টেস্ট জেতা দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সফরে সবশেষ ম্যাচে এসে প্রথমবারের মত টস জিতেন বাবর আজম। ব্যাটিং নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
বাংলাদেশ একাদশ: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান,, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলি, আজহার আলি, ফাহিম আশরাফ, ফাওয়াদ আলম, হাসান আলি, নুমান আলি, সাজিদ খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
Discussion about this post