দুঃস্বপ্নের মতো একটা দিন পেছনে ফেলে শুরুটা ছিল স্বপ্নের। এরপর বল হাতে টানা দুই সেশন চমক দেখালেন তাইজুল ইসলাম। তার স্পিন ঘূর্ণিতে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে উঠে পাকিস্তান দল। বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টে সফরকারীরা অলআউট ২৮৬ রানে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ম ইনিংসে ৪৪ রানে লিড এনে দেন তাইজুল। টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং কীর্তি গড়েন। বাঁহাতি স্পিনার তুলে নেন ৭ উইকেট। এই সাফল্যে তিনি পেছনে ফেলেন মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে এর আগে সেরা বোলিং কীর্তি ছিল সাকিবের। ২০১১ সালে ঢাকায় ৮২ রানে ৬ উইকেট নেন সাকিব। চট্টগ্রামে এবার তাইজুল নিলেন ১১৬ রানে পেলেন ৭ উইকেট। একইসঙ্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েন তাইজুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সব মিলিয়ে তার শিকার ১৯ উইকেট। মোহাম্মদ রফিক নেন ১৭ উইকেট।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে রোববার প্রথম ওভারেই উইকেট নেন তাইজুল। শুরুতে ফেরান আব্দুল্লাহ শফিক। এরপরই তুলে নেন আজহার আলির উইকেট। ফাওয়াদ আলমও তার শিকার। সকালের সেশনে টানা ১৬ ওভার বোলিং করেন তাইজুল। দেন মাত্র ৩১ রান। নেন ৩ উইকেট।
বিরতি শেষে সেঞ্চুরিয়ান আবিদকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশকে ফেরান ম্যাচে। হাসান আলিও তার শিকার। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট পেলেন তাইজুল। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন শ্রীলঙ্কা (১), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২) ও জিম্বাবুয়ের (৪) বিপক্ষে। সব মিলিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলেন ৭ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই।
Discussion about this post