ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুঃস্বপ্নের প্রহর শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা ৫ ম্যাচ হেরে চাপে ছিল দল। এই অবস্থায় থেকে জেগে উঠতে পারতো টি-টুয়েন্টি সিরিজে। কিন্তু মিরপুরের চেনা মাঠে সেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ০-৩ ম্যাচে হার! ঠিক এ অবস্থায় টেস্ট সিরিজে নেমে কিছুটা হলেও আশার আলো!
তবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামার পরই শুরু হয় বিপর্যয়। এক পর্যায়ে ৪৯ রানে ৪ উইকেট শেষ। মনে হচ্ছিল সেই ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্ধী থাকবে বাংলাদেশ। কিন্তু ঠিক সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলেন লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। দিনের বাকি সময়ে পাকিস্তানের বোলারদের তারা খেললেন দারুণ দক্ষতায়।
পঞ্চম উইকেটে এই জুটি ২০০ রান পার করেন লিটন-মুশফিক। ৪১১ বল খেলে লিটন ও মুশফিক ২০০ রান করেন। তার মধ্যে লিটনের অবদান ১০৯। আর মুশফিকের অবদান ৮১। আর দল ৮৫ ওভারে ২৫৩/৪। ১১ মিনিট আগে শুরু দ্বিতীয় দিনের খেলা। কারণ
প্রথম দিন আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয়েছে ১১ মিনিট আগে। খেলা কম হয়েছে ৫ ওভার।
প্রথম দিন বাংলাদেশের চারটি উইকেট পেলেন পাকিস্তানের শাহীদ আফ্রিদি, ফাহিদ আশরাফ, হাসান আলী ও সাজিদ খান।
তবে দিনটা হয়ে থেকেছে লিেনের। দুঃসময় কাটিয়ে আবারও এই উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান ফিরেছেন চেনা পথে। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আবার দুঃসময় পেছনে ফেলে রানে ফিরেছেন মুশফিকও। এই ম্যাচেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পথ চলা শুরু ফের বাংলাদেশের।
এমনিতে টি-টুয়েন্টি দলে জায়গা হারানো লিটনের সঙ্গে চাপে ছিলেন মুশফিক। তাদের ব্যাট কথা বলল। পঞ্চম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির তুলল ২০৪। এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা জুটি।
এর আগে সকালে চটজলদি ফিরেন সাদমান ইসলাম (১২), সাইফ হাসান (১৪) আর অধিনায়ক মুমিনুল। ম্যাচে অভিষেক হলো ইয়াসির আলী রাব্বির। বাংলাদেশের ৯৮তম টেস্ট ক্রিকেটার তিনি। পাকিস্তান দলেও টেস্ট ক্যাপ পেলেন আব্দুল্লাহ শফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৮৫ ওভারে ২৫৩/৪ (সাদমান ১৪, সাইফ ১৪, শান্ত ১৪, মুমিনুল ৬, মুশফিক ৮২*, লিটন ১১৩*; আফ্রিদি ১৮-৪-৫০-১, হাসান ১৩-৪-৩৮-১, ফাহিম ১০-২-৩৮-১, সাজিদ ২২-৩-৬৮-১, নুমান ২২-৫-৫১-০)।
# চট্টগ্রাম টেস্ট ১ম দিন শেষে
Discussion about this post