ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টানা হারে আগেই সেমিফাইনালের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে একটা জয় খুঁজছিল টাইগাররা। কিন্তু মঙ্গলবার ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে আগেই পথ হারিয়ে বসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তবে তাসকিন আহমেদের আগুন ঝরা বোলিংয়ের সুবাদে কিছুটা জেগেছিল আশা। শেষ পর্যন্ত সেটা টেকেনি টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফার ডুসেনের সময়উপযোগি ব্যাটিংয়ের কারণে। তাই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেও হেরেছে টিম টাইগার্স।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ৬ উইকেটে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮.২ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে বল হাতে তাসকিনের সৌজন্যে ভাল হলেও শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে পারেনি টিম টাইগার্স। এ সুযোগে দক্ষিণ আফ্রিকা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩.৩ ওভারে। ১৮ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন বাভুমা। ডুসেন করেন ২২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ছোট্ট লক্ষ্য দিয়েও বল হাতে শুরুটা ভাল করে বাংলাদেশ। এদিন প্রথম ওভারের শেষ বলে রেজা হেন্ডিকসকে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। এরপর কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফার ডুসেন দারুণ খেলেন। অবশ্য তাদের প্রতিরোধ ইনিংসের ৫ ওভারের ৫ম বলে ডি কককে বোল্ড করে থামান মেহেদী হাসান। এ রেশ থাকতেই ফের প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন। এবার এ পেসার এইডেন মার্করামকে তুলে নেন নাঈম শেখের ক্যাচে। যে কারণে কিছুটা আশা জেগেছিল টাইগার শিবিরে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাভুমা ও রাসি ফার ডুসেন দারুণ ব্যাটিং করে সে আশা শেষ করে দেন।
এরআগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ৩৪ রান তুলতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। ২২ বলে ২২ রানের জুটি গড়েই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম। পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁহাতি এই ব্যাটারের।
এরপর মুশফিকুর রহিমের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মুশফিক আরও একবার হতাশাই উপহার দিয়েছেন। রাবাদার বলে ঠিকই উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। রাবাদার বাউন্সি ডেলিভারি তাল সামলাতে না পেরে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে স্লিপে হেনড্রিকসের ক্যাচ হন মিস্টার ডিপেন্ডেবল (৩ বলে ০)।
পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এরপরও ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল থামেনি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯ বলে ৩) মুশফিকের মতোই বাউন্সি ডেলিভারির ফাঁদে পড়েন। অ্যানরিচ নর্টজের শর্ট বল টাইগার দলপতির গ্লাভস ছুঁয়ে যায় স্লিপে মার্করামের কাছে। আম্পায়ার আউট দিলে কী মনে করে যেন শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার গ্লাভসে লেগেছে।
এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও পরের ওভারের প্রথম বলেই আত্মঘাতী শট খেলতে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব। যে কারণে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে বোল্ড হন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের খাতায় যোগ হয় আরেকটি নাম।
লিটন একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। অবশেষে তার উইকেটটিও তুলে নেন তাবরাইজ শামসি। নিজের প্রথম ওভারে এসেই লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন প্রোটিয়া স্পিনার। ৩৬ বলে লিটনের ২৪ রানের ধীরগতির ইনিংসটিতে ছিল কেবল একটি বাউন্ডারি। এরপর টাইগারদের ইনিংস টেকেনি বেশিক্ষণ।
শেষদিকে শেখ মেহেদি হাসানের ২৫ বলে ২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে ৮৪ পর্যন্ত গিয়েছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নরকিয়া মাত্র ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার কাগিসো রাবাদারও।
Discussion about this post