বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টাকার কমতি নেই। বিশ্বের অন্যতম ধনী বোর্ড বিসিবি। এখন ৯০০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার। আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বোর্ড হলেও এখনও আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করতে পারেনি বোর্ড।
যদিও এরইমধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিলেট ও চট্টগ্রামে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করেছে বিসিবি। সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় মনে করেন, ব্যাংকে এফডিআর না বাড়িয়ে ক্রিকেট উন্নয়নে টাকা ব্যয় করার সময় এখন।
৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন। তার আগে সোমবার ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনক্ষণ। তিন ক্যাটাগরিতে বিসিবির ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে মোট মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন ৩২ জন। বিসিবির পরিচালনা পরিষদ সংখ্যা ২৫টি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে দুইজন মনোনীত হওয়ায় নির্বাচন হবে ২৩টি পদে। প্রার্থীরা আজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এই নির্বাচনে আছেন দুর্জয়ও। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ক্রিকেট এসোসিয়েশনের কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটে কাজ এগোচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে আগে একটা সময় ছিল, যখন বোর্ডের সংকীর্ণতা ছিল, সীমাবদ্ধতা ছিল। সেইগুলো কিন্তু এখন নেই। আমরা যদি শুধু মনে করি টাকা জমিয়ে রাখা, এফডিআর করা- এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে এসে আঞ্চলিক ক্রিকেটের উন্নয়নে, একাডেমির উন্নয়নে আরও বেশি ব্যয় করা উচিত।’
৬ অক্টোবর নির্বাচনে জিতলে নতুন করে দায়িত্ব নেবেন দুর্জয়। ঢাকা বিভাগের দুটি পদে লড়াই হবে চারজনের। তারা হলেন- তানভীর আহমেদ টিটু, দুর্জয়, সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও খালিদ হোসেন।
সদ্য শেষ মেয়াদে বিসিবির এইচপিতে কাজ করেছেন দুর্জয়। এনিয়ে খুশি তিনি। বলেন, ‘আমি আসলে ব্যক্তিগতভাবে বেশ খুশি। আমি এইচপি দলকে নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। কারণ এই জায়গাটাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কোনও সুযোগ নেই। অন্যান্য দিকগুলোর যেমন প্রয়োজনীয়তা আছে, এইচপিরও ক্রিকেটের উন্নয়নে তেমন প্রয়োজনীয়তা আছে। সেই দিক বিবেচনা করলে আমি অন্য কোনও ডিপার্টমেন্টের দিকে অতটা চোখ রাখি না। আর মূলত ডিপার্টমেন্টের বিষয়গুলো যিনি বোর্ড সভাপতি হন, তিনি দেখেন। আমি এইচপি দলের সঙ্গে থেকেই খুশি।’
কিছুদিন আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, গত দুই মেয়াদে মানে ৮ বছরে ক্রিকেট বোর্ডের এফডিআর আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো।
Discussion about this post