অনন্য এক কীর্তির হাতছানি ছিল তার সামনে। মাঠে নামলেই হয়ে যাবে অন্যরকম এক ডাবল সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে নেমেই ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচ ক্লাবের সদস্য হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
পঞ্চম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ ওয়ানডে খেলার এই কীর্তি গড়লেন তিনি । ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক রিয়াদের। এরপর ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন তিনি। একশ ওয়ানডে পূর্ণ হতে লেগেছে ৭ বছর। ৭ বছর লাগল আরও ১০০ হতে। ওয়ানডে খেলার ডাবল সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার রিয়াদ।
মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে ১৯৯ ওয়ানডেতে ৩৪.৯১ গড়ে ৪৪৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। তিন সেঞ্চুরি, ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তিন সেঞ্চুরির দুটি আবার পেয়েছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে। অন্যটি ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বাংলাদেদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ কেলার রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের। ২০০৬ সালে অভিষেক হয়েছে তার। এরপর ২২৭ ওয়ানডে খেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। মাশরাফি বিন মর্তুজার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ২২০টি। বাংলাদেশের জার্সিতে ২১৮টি। দুটি ম্যাচ খেলেছেন এশিয়া একাদশের পক্ষে। তামিম ইকবালের ম্যাচ ২১৯টি। তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ম্যাচ সংখ্যা ২১৫টি। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে একশর বেশি ওয়ানডে খেলেছেন শুধু মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫) ও রুবেল হোসেন (১০৪)।
১৪ বছরের ক্যারিয়ারে এবার এসে ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়লেন রিয়াদ। অভিনন্দন এই টাইগার ক্রিকেটারকে।
Discussion about this post