স্বপ্নের এক জুটি। নবম উইকেটে এসে ঠিক স্বপ্নেরই এক জুটির দেখা পেলো বাংলাদেশ। যেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সম্মান বাঁচানোর লড়াই চলছিল সেখানে রীতিমতো ইহিাসই গড়লেন দুজন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তাসকিন আহমেদ খেললেন তাদের ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস। তার পথ ধরে বাংলাদেশ হারারের টেস্টের প্রথম ইনিংসে পেলো বড় স্কোর।
বৃহস্পতিবার হারের টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১৫০ রানে। বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ইবাদত হোসেন। বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে তুলল অলআউট হয়ে ৪৬৮ রান।
মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন এদিন। এর আগে ১৪৬ রান করেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি গড়েন তিনি। ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরে খেললেন দেখার মতো এক ইনিংস। তাকে তো আলোচনার বাইরে ফেলে দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু ফিরলেন। ফেরার মতো করেই।
এর আগে বুধবার ৮ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুমিনুলের ৭০ রান তুলে পথ দেখান দলকে। এরমধ্যে নেই ১৩২ রানে ৬ উইকেট। তারপর লড়লেন লিটন ও মাহমুদউল্লাহ। লিটন ৯৫ রানে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ তুলেন সেঞ্চুরি। তারপর তো দেখা গেলো স্বপ্নের জুটি। তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহর ১৯১ রান জমা করেন।
দু’জন দেশের হয়ে রেকর্ড রানের জুটি গড়েন। একটুর জন্য বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে নবম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ১৯১ রান করেন দু’জন। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে নবম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান ১৯৫। দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্স পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রান তুলেছিলেন। মাত্র ৫ রানের জন্য আক্ষেপ থাকল মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন জুটির। তবে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে নবম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আবুল হাসান ১৮৪ রাননের রেকর্ড ভাঙেন তারা।
তাসকিন করেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫। ১৩৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে খেলেন এই ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১২৬ ওভারে ৪৬৮/১০ (মাহমুদউল্লাহ ১৫০*, তাসকিন ৭৫, ইবাদত ০; মুজারাবানি ২৯-৪-৯৪-৪, এনগারাভা ২৩-৫-৮৩-১, টিরিপানো ২৩-৫-৫৮-২, নিয়াউচি ১৭-১-৯২-২, মায়ার্স ৩-১-১৩-০, শুম্বা ২১-৪-৬৪-১, কাইয়া ১০-০-৪৩-০)।
Discussion about this post