ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোট
সকালে টস ভাগ্যটা ছিল বাংলাদেশের সঙ্গেই। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হক শুরুতে ব্যাটিং নিতে গিয়ে দুবার ভাবেন নি। হারারের ক্রিকেট মাঠে এরপর অস্বস্তির সকালে সর্বনাশই হতে যাচ্ছিল। শেষ অব্দি লিটন কুমার দাসের ব্যাটে রক্ষা। হারারে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম দিনের নায়ক তিনি। যদিও আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তিনি। মাত্র ৫ রানের জন্য দেখা হলো না ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক। লিটন আটকে গেলেন ৯৫ রানে।
বুধবার হারারে টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৮ উইকেটে হারিয়ে তুলেছে ২৯৪ রান। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয় ৭ ওভার আগে। যদিও আরও আগেই শেষ হতে যাচ্ছিল টাইগারদের ১ম ইনিংস। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সব মিলিয়ে বিকালটা ছিল স্বস্তির। শুধু লিটন শতক পেলেন না!
ইঙ্গিতটা আগেই ছিল। শেষ অব্দি আশঙ্কা সত্য হলো। তামিম ইকবালকে ছাড়াই নামতে হয় টাইগারদের। হাঁটুর চোটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে খেলা হলো না দেশসেরা ওপেনারের। সুযোগ পান সাদমান ইসলাম। একাদশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তারা দুজনই ফ্লপ।
১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য সুযোগটা কাজে লাগালেন। তিনি তুললেন হাফ সেঞ্চুরি। দিনশেষে ৫৪ রানে অপরাজিত তিনি। তার সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত তাসকিন আহমেদ। আরেকটা ছোট জুটি দাঁড়ালে রান অন্তত সম্মানজনক জায়গায় যেতে পারে!
তবে সকালটা হতাশায় কেটেছে। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই ফেরেন চটজলদি। সাইফ হাসান কোন রান না করেই আউট। নাজমুল হোসেন শান্ত ২। সাদমানকে ২৩ রানে আউট। এরপর তিন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান দ্রুত ফিরলে মহা বিপাকে পড়ে দল। মুশফিক ১১ রান করে আউট। সাকিব মাত্র ৫ বল খেলে ৩।
তবে লড়াই করেন মুমিনুল। অধিনায়ক ৯২ বলে ১৩ চারে ৭০ রান তুলেন। এরপর ১৪৭ বলে ১৩ চারে ৯৫ রান করেন লিটন। এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৩ ওভারে ২৯৪/৮ (সাইফ ০, সাদমান ২৩, শান্ত ২, মুমিনুল ৭০, মুশফিক ১১, সাকিব ৩, লিটন ৯৫, মাহমুদউল্লাহ ৫৪*, মিরাজ ০, তাসকিন ১৩*, মুজারাবানি ১৬-৩-৪৮-৩, এনগারাভা ১৫-৫-৩৬-১, টিরিপানো ১৩-৪-৩৬-২, নিয়াউচি ১২-১-৬৯-২, মায়ার্স ৩-১-১৩-০, শুম্বা ১৮-৪-৫৩-০, কাইয়া ৬-০-২৭-০)।
Discussion about this post