ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে একের পর এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। গেল শুক্রবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানেতে না পেরে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব আল হাসান। পরে বৃষ্টির আগে ওভার শেষ করার আগেই ম্যাচ অফিসিয়ালরা খেলা থামিয়ে দেওয়ায় স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। এরপর সেটি নতুন করে আলোচনায়। সে ইস্যু শেষ না হতেই রোববার ফের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিন তাদের মেনে নিতে না পেরে মাঠেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের পেসার শাহাদাত হোসেন। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
রোববার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মধ্যেকার ম্যাচ চলাকালিন ঘটে প্রথম ঘটনা। এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে রূপগঞ্জ। দলটির ইনিংসের ১৫তম ওভারের খেলার বোলার সালাহউদ্দিন শাকিল ওভারের পঞ্চম বলটি করেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। সেটি খেলার চেষ্টা করলেন সাব্বির। তবে ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি। যে কারণে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। বোলার-কিপার দুজনই আউটের আবেদন করলেন, ফিল্ড আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া দিলেন তাতে। তবে এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ সাব্বির। উইকেটও ছাড়তে চাইলেন না। আম্পায়ারকে হাতের ইশারায় বোঝালেন এটি কোনোভাবেই তার ব্যাট স্পর্শ করেনি।
তবে সিদ্ধান্ত অনড় ফিল্ড আম্পায়ার। সাব্বিরও তার জায়গা ছাড়তে নারাজ। এরপর তার জাতীয় দলের সতীর্থ সোহানকে দেখা গেল সাব্বিরের সঙ্গে কথা বলতে। ভিডিও ফুটেজ দেখেও বোঝা গেল, শাকিলের করা বলটি সাব্বিরের ব্যাটের বেশ বাইরে দিয়ে গিছে। পরে একরাশ হতাশা নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান সাব্বির।
এদিকে অন্য ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচেও ঘটেছে অনাকাঙিক্ষত ঘটনা। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে দোলেশ্বরকে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় পারটেক্স। লড়াইটা হচ্ছিল বেশ জমজামাটপূর্ণ। ঘটনা দোলেশ্বরের ইনিংসের ১৯তম ওভারে। শেষ ২ ওভারে তখন দোলেশ্বরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩ রান। সে সময় ব্যাট করছিলেন ফজলে মাহমুদ ও শামীম পাটোয়ারি। বোলার ছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। তার করা দ্বিতীয় বলটি লাগে মাহমুদের পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে জোড়ালো আবেদন করেন পারটেক্সের খেলোয়াড়রা। তাতে সাড়া দেননি মাঠে থাকা ফিল্ড আম্পায়ার। এতে ক্ষিপ্ত হতে দেখা যায় শাহাদাতকে।
নিজের তৃতীয় বলে ৭১ রানে থাকা ফজলে মাহমুদকে মেহরাব হোসেনের তালুবন্দি করান শাহাদাত। তখনও তাকে বেশ উত্তেজিত দেখা যায়। পাগলাটে উদযাপনে জানান দেন, আম্পায়ারের আগের সিদ্ধান্তে কতটা অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। তবে ব্যাপারটি নিয়ে ম্যাচ অফিসিয়ালরা মুখ খুলতে নারাজ। তারা বলছেন ঝামেলা আছে।
Discussion about this post