ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অবশেষে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সাব্বির রহমান ও নাঈম ইসলাম। তাদের নৈপুণ্যে লড়াইয়ের পুঁজিও পেয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি ডিএল ম্যাথডে রোববার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হাছে ৭ উইকেটে হেরেছে নারায়ণগঞ্জের দলটি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির (৩১ বলে ৪১) ও নাঈমের (১৯ বলে ৩০) নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে রূপগঞ্জ করে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান। বল হাতে শুরুটা ভাল হলেও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি লিজেন্ডসরা। এ সুযোগে প্রতিপক্ষের সৈকত আলী ও নুরুল হাসান দাপট দেখান। একটা সময় সৈকতকে ৪৩ রানে হোসাইন আলী ফেরালেও কোন লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত নুরুলের অপারাজিত ৪৪ রানের কাছেই হেরে বসে রূপগঞ্জ।
রোববার জিততে শেখ জামালের দরকার ছিল ২০ ওভারে ১৩৮ রান। কিন্তু ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৭ রান তোলার পর বিকেএসপিতে শুরু হয় বৃষ্টি। পরে অপেক্ষা করেও আবহাওয়া খেলা উপযোগী না হওয়ায় ম্যাচ অফিসিয়ালরা শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ৭ উইকেটে বিজয়ী ঘোষণা করে।
টস হেরে রোববার ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ দেখে শুনেই করেছির রূপগঞ্জ। যে কারণে ৮.৪ ওভারে দলটি স্কোর বোর্ডে তুলেছিল ২ উইকেটে ৫১ রান। এরপর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন সাব্বির রহমান ও আল আমিন হোসেন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ২৯ রান। এরপর আল আমিন ১৩ বলে ১৯ রানে ফিরলেও নাঈম হাসান দলের হাল ধরেন। শেষ দিকে তিনি তোলেন ঝড়। তাইতো লিজেন্ডসরা পায় লড়াইয়ের পুঁজি।
২০ ওভারে প্রতিপক্ষের সামনে ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছিল রূপগঞ্জের আশা জাগানিয়া। ইনিংসের ৪র্থ ওভারের ১ম বলে শেখ জামাল ওপেনার নাসির হোসেনকে ফিরিয়ে দেন ইবাদত হোসেন। এরপর অবশ্য খেঁই হারিয়ে ফেলেন দলটির বোলাররা। সে সুবাদে দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েস ও সৈকত আলী গড়ার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় রূপগঞ্জের জন্য। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচের ১০ম ওভারের তৃতীয় ও ষষ্ঠ বলে ইমরুল ও সৈকতকে ফিরিয়ে রূপগঞ্জের আশা বাড়ান হোসাইন আলি। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে দলটিকে নিরাশ করেন সোহান। চতুর্থে উইকেটে ইলিয়ান সানিকে নিয়ে তিনি গড়েন প্রতিরোধ। শেষ পর্যন্ত তিনিই দলটিকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যায় ৩০ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করে। এরপরই বৃষ্টির হাঁনায় খেলা বন্ধ হলে ম্যাচ অফিসিয়ালরা শেখ জামালকে জয়ী ঘোষণা করে।
রূপগঞ্জের হয়ে হোসাইন আলী ২৮ রানে ২টি উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন শেখ জামালের সৈকত আলী।
Discussion about this post