টানা তিন জয়ে রীতিমতো উড়ছিল আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু এবার চতুর্থ রাউন্ডে এসে পা পিছলে গেলো মুশফিকুর রহিমদের। কাগজ-কলমে পিছিয়ে থাকা দলটির কাছেও হেরে গেল তারা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনীকে চমকে দিল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টির শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আবাহনী লিমিটেডকে ৮ রানে হারিয়ে দিল তারা।
সোমবার বিকেএসপিতে ইমতিয়াজ হোসেনের ৪৬ বলে ৬৬ রানে খেলাঘর পায় ভাল পুঁজি। তারা করে ২০ ওভারে ১৬৪ রান। জবাব দিতে নেমে আবাহনী থামে ১৫৬ রানে। লিগে চার ম্যাচে আবাহনী দেখল প্রথম হার। খেলাঘর পেয়েছে দ্বিতীয় জয়।
জিততে শেষ ৫ ওভারে আবাহনীর দরকার ছিল ৪৮ রান। আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তখন জেতাতে পারলেন না। অবশ্য শুরুটাই ভাল ছিল না তাদের। দ্রুত ফিরেন মুনিম শাহরিয়ার ও মুশফিক। আবাহনী অধিনায়ক মুশফিক করেন ৫ বলে ৮)।
নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৩ বলে ৪৯ করে কিছুটা সময় লড়েছেন। শেষ ওভারে আবাহনীর চাই ১৭ রান। কিন্তু সেটা আর করা হয়নি।
মোসাদ্দেকের রান ১৯ বলে ২১, আফিফ অপরাজিত ১৮ বলে ২২। উড়তে থাকা আবাহনীকে মাটিতে নামাল খেলাঘর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খেলাঘর: ২০ ওভারে ১৬৪/৬ (ইমতিয়াজ ৬৬, রাফসান ১৮, মিরাজ ৩৩, জহুরুল ৫, মইনুল ৭, সালমান ১৩, মাসুম ৪*, রিশাদ ৮*; সাইফ উদ্দিন ৪-০-২৭-১, আরাফাত সানি ৪-০-২৫-২, তানজিম ৪-০-৩৩-১, তাইজুল ২-০-২১-০, শহিদুল ৩-০-২৯-০, মোসাদ্দেক ৩-০-২৪-২)।
আবাহনী: ২০ ওভারে ১৫৬/৫ (মুনিম ০, নাঈম ৪৯, মুশফিক ৮, শান্ত ৪৯, মোসাদ্দেক ২১, আফিফ ২২*; রনি ৩-০-২৩-২, মাসুম ৪-০-৪০-০, মিরাজ ৪-০-১৯-০, নোমান ৪-০-৩৫-০, খালেদ ৪-০-৩৫-২, রাফসান ১-০-৫-১)।
ফল: খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ৮ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইমতিয়াজ হোসেন।
Discussion about this post