সামনে ব্যস্ত সূচি। এক টানা ক্রিকেট খেলতে হবে। সংগতভাবেই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন ক্রিকেটাররা। এ অবস্থায় যে কেউ বিশ্রাম চাইতেই পারেন। সেটা হলে ইতিবাচকভাবেই দেখবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকরা। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেউ বিশ্রাম চাইলে তারা ভেবে দেখবেন।
সামনের জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চাইলে বিবেচনা করার কথা শোনালেন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৯ জুন জিম্বাবুয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সফরে একটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
গণমাধ্যমকে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যদি কেউ সফরে না গিয়ে বিশ্রামে থাকতে চায়, অবশ্যই আমরা ভেবে দেখবো। আমার জানা মতে, এখনও কেউ বলেনি যে সে থাকতে পারবে না। কেউ বললে আমরা চিন্তা করার সময় পাবো।’
করোনায়র এই সময়ে বায়ো-বাবলে থাকায় কারও বিশ্রাম চাওয়া স্বাভাবিক বলে করেন রাজ্জাক। বলেন, ‘দেখুন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এখন বায়ো-বাবলে থাকা। যারা জাতীয় দলে নিয়মিত খেলছে তাদের কথা একটু চিন্তা করেন, তারা কতদিন বাইরে! হিসেব করে দেখেন আসলেই কঠিন। আমরা শুধু পারফরম্যান্স দেখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এটাও বিবেচনায় রাখা উচিত, যারা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে তাদের এসব হিসেব করা উচিত। কারণ খুবই স্বাভাবিকভাবে এরকম একটা চিন্তা করা হচ্ছে যেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো ও বিশ্রাম দেওয়া হয়। আরেকটি বিষয় হলো, বোর্ড যদি অনুমতি দেয় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে থাকা।’
তবে জিম্বাবুয়ে বলে অবহেলা করা উচিত নয় মনে করছেন রাজ্জাক। জানালেন, ‘আমাদের কাছে প্রতেকটা সিরিজ সমান গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য। এখন আপনি যদি স্কটল্যান্ডের সঙ্গে খেলেন একই, আপনি অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেললেও একই হবে। কারণ কী? কারণ হল আপনি কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জিতলে দুই ম্যাচের সমান পয়েন্ট দেওয়া হবে না। একটা ফিফটি করলে সেটা একশ হবে না। সবচেয়ে বড় কথা খেলোয়াড়দের সবার খেলতেই কিন্তু কষ্ট হয়। প্রত্যেক সিরিজই গুরুত্বপূর্ণ।’
৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সর্বশেষ আফ্রিকার দেশটিতে সফর করে। পূর্ণাঙ্গ সেই সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ৩৩৫ রানে হারের পর কোনও মতে দ্বিতীয়টিতে জিতে টেস্ট সিরিজ বাঁচায় টাইগাররা।
Discussion about this post