ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সামনে ব্যস্ত সূচি। দম ফেরারও যেন সময় নেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষেই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। জুনে এই লড়াই শেষ হতেই দল উড়াল দেবে জিম্বাবুয়েতে। ১ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টুয়েন্টি খেলতে জুন-জুলাইয়ের এই সফরে। তারপরই বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। আসবে নিউজিল্যান্ডও।
ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সংস্করণে ১০টি টি-টুয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দুই সিরিজে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এমনই খবর শোনালেন।
মিরপুর শেরেবাংলায় আকরাম খান বলেন, ‘দেখুন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের তিনটি ম্যাচ ছিল, সেটা বাড়িয়ে পাঁচটি করতে চেয়েছি এবং ওরাও রাজি হয়েছে। ম্যাচগুলো হবে ৮ থেকে ৯ দিনের মধ্যেই। যত ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করছি।’
এমনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিল তিনটি টি-টুয়েন্টি। আলোচনা করে আরও দুটি ম্যাচ যুক্ত করা হয়েছে। ১৮ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিউজিল্যান্ড পাঁচটি টি-টুয়েন্টি খেলবে। আর সব ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ৬ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
এদিকে করোনার কারণে ভারতে বিশ্বকাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে দুবাইকে।তিবে এনিয়ে ভাবছে না বিসিবি। আকরাম খান বলেন, ‘বিশ্বকাপ ভারতে হবে কি না তা তাদের ওপর নির্ভর করছে। ভারতে না হলে দুবাইতে হতে পারে। এসব না ভেবে প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়ার সেভাবে নিচ্ছি আমরা।’
এ অবস্থায় ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখার কথাও মাথায় আছে বিসিবি কর্তাদের। আকরাম খান বলেন, ‘আপাতত আমাদের সূচি খুব ব্যস্ত। আমাদের এই সিরিজের পর ক্লাব ক্রিকেট শুরু হবে। তারপর জিম্বাবুয়ে থেকে একটি টেস্ট কমিয়ে একটি টি-টুয়েন্টি বাড়িয়েছি। তারপর জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর আমাদের অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। তারপর ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার বিষয়টি দেখতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে ভাবতে হবে। অতিরিক্ত খেলাও কিন্তু ভালো না। আমরা এসব নিয়ে ভাবছি। এই সিরিজের পর এসব নিয়ে চিন্তা করব।’
Discussion about this post