হঠাৎ করেই পথ হারিয়েছেন বাবর আজম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে দেখা মিলছে না সাফল্যের। তবে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে ঠিকই মিলেছে সাফল্য। তার পথ ধরে একদিনের ক্রিকেটে নাম্বার ওয়ানও হয়েছেন তিনি। এই সাফল্যের পথ ধরে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও বেশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। আয় বেড়েছে, বিজ্ঞাপনের বাজারে বেশ চাহিদা।
প্রকাশ হলো বাবর আজমের বাবরের আয়-সম্পদের বিবরণী। যেখানে দেখা যাচ্ছে তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ কোটি টাকা।
পিসিবির বার্ষিক চুক্তি
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে আছেন বাবর। মাসে তার বেতন দাঁড়াল ১১ লাখ পাকিস্তানি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা বছরে ৬ লাখ টাকার কিছু বেশি। সঙ্গে সারা বছর ক্রিকেট খেলার জন্য ম্যাচ ফি বাবদ বেশ কিছু টাকা আয় করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
পিএসএলের বেতন
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) করাচি কিংসের হয়ে খেলেন বাবর আজম। যদিও পাকিস্তানি হওয়ায় আইপিএলের দরজা তার জন্য বন্ধ। তবে পিএসএলে এ বছর বাবর ‘প্লাটিনাম’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়। এখানে তার পারিশ্রমিক প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
বাণিজ্যিক চুক্তি ও সম্পত্তি
একাধিক বাণিজ্যিক সংস্থার কাছ থেকে বিজ্ঞাপনি প্রচার বাবদ বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে থাকেন বাবর। বিজ্ঞাপনের বাজারে যুক্ত আছেন হেড অ্যান্ড শোল্ডার্স, এইচবিএল, অপ্পো, হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্যাট ও ক্রিকেটের অন্য সামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্রে নিকোলস।
গাড়ি
লাহোরে পরিবারের সঙ্গে থাকেন বাবর। তার নিজের একটি ল্যান্ড ক্রুজার রয়েছে।
মোট সম্পদ
পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ক্রিকেটার তিনি। লাহোরে বিলাসবহুল বাড়ি আছে তার। বেশ কয়েকটি গাড়িও রয়েছে তাঁর। একটি পাকিস্তানি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে- বাবরের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ৩৩ কোটি টাকার বেশি।
Discussion about this post