বাজে সময়গুলো সবসময়ই দীর্ঘ হয়। তিনি সত্যিকার অর্থেই দুঃসময়ে ছিলেন অনেক দিন। যখন ফর্মের তুঙ্গে তখনই পড়েন ইনজুরিতে। পায়ের গোড়ালির ইনজুরিতে দেড় বছর থাকলেন মাঠের বাইরে। এর আগে অফ ফর্মের কারণেও দলে জায়গা ছিল না। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ৪ বছর পর পা রাখেন তাসকিন আহমেদ।
সেই দুঃসময় কাটিয়ে এবার চেনা ছন্দে এই পেসার। ক্যান্ডি টেস্টে পাল্লেকেলেতে ডানহাতি পেসার পেলেন সাফল্য। শিকার করেন ৩ উইকেট। তাইতো মন জয় করেন টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজনের।
সুজন বলেন, তাসকিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি খুব খুশি তাসকিন যেভাবে বল করেছে, এবং এবাদওত, আমি মনে করি জোরে বল করেছে, এফোর্ট দিয়েছে। এই গরমে এত সহজ ছিল না।তাসকিনতো প্রায় ৩০ ওভার বল করেছে। গ্রেট এফোর্ট। সবসময় যেটা হয় ৩০ ওভার বল করলে বোলিং এর মত বোলিং হয়না, কিন্তু তাসকিন পুরো এফোর্ট দিয়েছে, আমি খুব খুশি।’
অধিনায়ক মুমিনুল হক আগের দিন বলেন, ‘বোলিংয়ে তাসকিন আউটস্ট্যান্ডিং চেষ্টা চালিয়েছে। ও অনেক চেষ্টা করেছে।’ ৩০ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট পাওয়া ম্যাচে গতিময় বোলিং, বৈচিত্র্য দিয়ে মন জয় করেন এই পেসার।
বলা যায় পরিশ্রমের পুরস্কার পেলেন তিনি। গত বছর করোনার মধ্যেই ব্যক্তিগত ট্রেনার নিয়োগ দেন। দিনরাত জিমে ওয়েটলিফটিং, আউটডোরে তপ্ত বালির ওপর দৌড়ানো চলে। আগুণের ওপর হেঁটেছেন, আধাঘণ্টা-এক ঘণ্টার ধ্যানেও বসেছেন তিনি। পেস বোলিং কোচ মাহবুব আলীর সঙ্গে কাজ করেন। এরপর বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপে ২৬.২৮ গড়ে ৭ উইকেট নিয়ে হন ‘কামব্যাক ফ্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’।
ক্যান্ডি টেস্ট ড্রয়ের পর তাসকিন প্রসঙ্গে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল বলেন , ‘আপনারা হয়ত জানেন না, ও গত এক দেড় বছর থেকে অনেক চেষ্টা করছে, অনেক কষ্ট করছে। আমার মনে হয় এটা কষ্টের ফল। সত্যি কথা বলতে ও অনেক এফোর্ট দিয়েছে। যখন দলের দরকার তখন বোলিংয়ে এসেছে। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বল করাও কঠিন। আমি খুবই খুশি ওর পারফরম্যান্সে।’
এখন এই ছন্দ ধরেই রেখেই তাসকিন এগিয়ে গেলে খুশি হবেন ভক্তরা। ২৯ এপ্রিল শুরু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সেখানে এই তাসকিনকেই চাইছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট।
Discussion about this post