নেতা মাশরাফিও বিশ্বসেরাদের অন্যতম

ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট

মাঠের ক্রিকেটে তিনি লম্বা সময় ধরে দেখিয়েছেন শ্রেষ্টত্ব। হয়ে উঠেন নেতা। পরিসংখ্যানও বলছে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সফলতম অধিনায়ক। অবসর না নিলেও তার ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। এরমধ্যে রাজনীতিতেও জড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মতুর্জা। এই তারকা ক্রিকেটার মাঠের বাইরে থেকে এবার পেলেন অনন্য এক স্বীকৃতি। সুইস সরকারের তত্ত্বাবধানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে পরিচালিত সংস্থা ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স’ -এর তালিকায় উঠে এসেছে তার নাম।

২০২১ সালের জন্য বেছে নিয়েছে বিশ্বের ১১২ জন তরুণ নেতাকে বেছে নিয়েছে সংস্থাটি। যেখানে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি।

এমনিতে রাজনীতি, ব্যবসা, একাডেমি, মিডিয়া, চারুকলায় উচ্চ স্বীকৃত ব্যক্তিরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নির্বাচতি করা হয় ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স’। তাদের বয়স অবশ্যই থাকতে হবে ৩৮ এর নিচে। যারা নির্বাচিত হলে পরের ৬ বছরে বয়স থাকবে ৪৪ এর কম।

মাঠের ক্রিকেটের মতো জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সফল মাশরাফি। ৩৭ বছর বয়সী এ তারকা মাথা উঁচু করে দিয়েছেন নেতৃত্ব। ২০০১ সাল থেকে খেলছেন জাতীয় দলে। এরপর ইনজুরিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করেছেন রাজত্ব। এর পাশাপাশি সমাজ সেবায় রেখেছেন বড় অবদান। নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নিজ শহরে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।’

মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নির্বাচিত করে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার্স’ তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘মাশরাফি বিন মর্তুজা, বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার ও ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কও ছিলেন। তিনি তিনটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ক্রিকেটের বাইরে তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তার নিজ শহর নড়াইলের মানুষকে দারিদ্রতা মুক্ত করতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।’

তারা আরও যোগ করে, ’মাশরাফি ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ভাবনা থেকে তিনি নড়াইল এক্সপ্রেস ফাইন্ডেশনও প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্যগুলো হল- নাগরিকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করা। মানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করতে সাহায্য করা। তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ক্রীড়া প্রশিক্ষণ প্রদান। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা। চিত্রা নদীতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন। নড়াইলকে তথ্য, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব শহরে রূপান্তর করা ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য।’

‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ নির্বাচিতরা মিলে এই পৃথিবীকে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন বৈশ্বিক উদ্যোগে অংশ নেবেন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে নির্বাচিত ১০ জনের সঙ্গে সেই লড়াইয়ে থাকবেন মাশরাফিও!