ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না তার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাঠের বাইরের ঘটনা আলোচনায় রেখেছে তাকে। এখন তো জাতীয় দলে নেই। সহসা বাংলাদেশের জার্সি ফের বুঝে পাবেন তেমন সম্ভাবনাও নেই। ঠিক এমন সময়ে বিয়ে করতে গিয়েও আলোচনায় নাসির হোসেন। এইতো সেদিন বিয়ে করলেন তিনি। কিন্তু নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তার সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই নাকি তাকে বিয়ে করেছেন! এমন অভিযোগের পর তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন।
উত্তরা পশ্চিম থানায় এমন অভিযোগ তুলে সাধারণ ডায়েরি করেছেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। রাকিব জানান, তামিমার সঙ্গে নাকি তার ১১ বছরের সংসার। দুজনের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। এনিয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করারও কথা ভাবছেন রাকিব।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। পাঠকরাও জেনে গেছেন নাসিরের স্ত্রী পেশায় একজন কেবিন ক্রু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাসিরের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে তিনটি ছবি আপলোড করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির। এরপরই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তার বিয়ের খবর।
কিন্তু হানিমুন করার আগেই শুরু হলো বিতর্ক। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস।গণমাধ্যমে বলেন, ‘জিডি নাসিরের বিরুদ্ধে করা হয়নি। এটি তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। একটা লোক এসে দাবি করেন, তিনি নাসিরের বর্তমান স্ত্রীর স্বামী। তামিমা তাকে ডিভোর্স না দিয়ে নাসিরকে বিয়ে করেছেন। তিনি এখন আতঙ্কে আছে।’
এরমধ্যে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের একটি ফোন রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে শোনা যায় ফোন করে এক ব্যক্তিকে জিডি করার ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে বলেছেন নাসির। ব্যক্তিটির প্রশ্ন ছিল- ‘আপনি কি তামিমা সম্পর্ক সব কিছু জানেন? উত্তরে নাসির হোসেন বলেন, তার সব কিছু জেনে-শুনেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তার বাচ্চা আছে, আগেও বয়ফ্রেন্ড ছিল, সবকিছুই আমি জানি। আপনার বউ আপনার সঙ্গে ভালো থাকলে নিশ্চয়ই ১১ বছরের সংসার ভেঙে আমার কাছে চলে আসত না।’
Discussion about this post