ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের টিকা নিতে শুরু করলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। যারা নিউজিল্যান্ড সফরের দলে থাকবেন, শুরুতে তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার সকালে ক্রিকেটার, বিদেশি কোচিং স্টাফ আর টিম ম্যানেজমেন্টসহ টিকা নিচ্ছেন ২৮ জন।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ টিকাদান কর্মসূচি চলছে। নিউজিল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে থাকবেন এমন ৮ জন ক্রিকেটার প্রথম দিন টিকা নিচ্ছেন না। ঢাকার বাইরে থাকায় ২০ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিন নেবেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে টিকা দিতে আসেন বিদেশি কোচিং স্টাফের ৬ সদস্য। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ব্যাটিং পরামর্শক জন লুইস, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ফিজিও জুলিয়ান ক্যালফেতো ও ট্রেনার নিক লিকে দেখা গেল।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে টিকা দিতে গেলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস, মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম, ক্রিকেটার নাঈম শেখ, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদরা টিকা নিয়েছেন।
এর আগেই প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানান, ‘আপাতত নিউজিল্যান্ডগামী ক্রিকেটারদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছি। বাকিদের টিকার জন্যও তালিকা তৈরি করা হবে। সেটি সরকারের কাছে পাঠাবো আমরা। তাদের নির্দেশনা মেনেই বাকি ক্রিকেটারদের টিকা দেওয়া হবে।’
সফরে থাকছেন না সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত কারণে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ড সফরে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশ ছাড়বে। তার আগেই টিকাদান কর্মসূচির প্রথম পর্ব শেষ করতে আগ্রহী বিসিবি। শুধুমাত্র আগ্রহীদেরই দেয়া হবে করোনার প্রতিষেধক।
২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ। এরপর ২৩ ও ২৬ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটনে সিরিজের দুই ম্যাচে লড়বে টাইগাররা। এরপরই ২৮ মার্চ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি হ্যামিল্টনে। নেপিয়ার ও অকল্যান্ডে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল সিরিজের শেষ দুটো টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
Discussion about this post