ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেললেন তিনি। তবে ফিফটি পেলেও ইনিংসটকে টানতে পারেন নি বেশিদূর। দারুণ গতিতে ফিফটি
করেই বিদায়। তারপরই দল দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে ২৩১ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে চা বিরতিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৮ রান।
আর এ রিপোর্ট লেখার সময় সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০১ রান। জিততে আরও চাই ১৩০ রান। উইকেটে মুমিনুল হক ৯ ও মুশফিকুর রহিম ১৪ রানে।
২১৫ রানের বেশি তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। এই ম্যাচ জিততে নিজেদের আগের রেকর্ড ভাঙতে হবে টাইগারদের। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ১০১ রানের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল দল।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার জিততে করতে হবে ২৩১।
অবশ্য মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। ২০১০ সালে বাংলাদেশের দেয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ইংল্যান্ড। এই মাঠে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ২০৫ রান করে ৫ উইকেটে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
রোববার টেস্টের চতুর্থ দিনে তামিম ৯ চারে হাফসেঞ্চুরি করেন ৪৪ বলে। চা বিরতির আগে রাকিম কর্নওয়ালের বল ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্তও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চা বিরতি পর্যন্ত):
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪০৯
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৯৬
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৪১/৩) ৫২.৫ ওভারে ১১৭ (বনার ৩৮, ওয়ারিক্যান ২, মেয়ার্স ৬, ব্ল্যাকউড ৯, জশুয়া ২০, জোসেফ ৯, কর্নওয়াল ১, গ্যাব্রিয়েল ১*; তাইজুল ২১-৪-৩৬-৪, নাঈম ১৫.৫-৫-৩৪-৩, মিরাজ ৬-১-১৫-১, আবু জায়েদ ১০-৪-৩২-২)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৩১) ২১.৩ ওভারে ৭৮/৩ (তামিম ৫০, সৌম্য ১৩, শান্ত ১১, মুমিনুল ২*; কর্নওয়াল ১০.৩-২-২৬-১, জোসেফ ২-০-১৬-০, গ্যাব্রিয়েল ২-০-৮-০, ওয়ারিক্যান ২-০-১৪-০, ব্র্যাথওয়েট ৫-১-১২-২)।
Discussion about this post