ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এরইমধ্যে লাখেরও বেশি মানুষ নিয়েছেন টিকা। যদিও ক্রিকেটারদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ঢাকা টেস্ট শেষেই শুরু হবে কার্যক্রম। দ্রুতই ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সাপোর্ট স্টাফ আর গ্রাউন্ডসম্যানদেরও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে বিসিবির কাছে। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমদের নাম যাবে মন্ত্রণালয়ে। বুধবার এনিয়ে কথা বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। সঙ্গে ক্রিকেটের নানা কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন যা বললেন তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
করোনা ভ্যাকসিন কবে পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা..
‘শুধু খেলোয়াড় নয়, আমাদের সাপোর্ট স্টাফ, গ্রাউন্ডসম্যানদেরও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে ইতোমধ্যে আমাদের কাছে প্লেয়ারদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব তালিকা তৈরি করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার। সেভাবে আমরা আমদের ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম পরিচালনার পরিকল্পনা করছি।
অস্ট্রেলিয়া কবে আসছে..
আমরা অনেকগুলো অপশন এক্সপ্লোর করছি। আপনারা জানেন যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যেহেতু ভারতে নির্ধারিত আছে অক্টোবরে তার আগে আমরা চেষ্টা করছি। এটা আমাদের এফটিপিতেই আছে, কয়েকটি দেশের বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে অস্টড়েলিয়াও আছে। অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আমরা দুই বোর্ড নীতিগতভাবে সম্মত আছি। আর এভাবেই আমাদের শিডিউল করা আছে।
আমরা আসলে কাজ করছি। এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো পর্যন্ত যেটা আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ সফর করবে। এভাবেই আমাদের প্ল্যান আছে, এখন পর্যন্ত কোন ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এখন যে এফটিপির খেলাগুলো বেশিরভাগই কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের মধ্যেই হচ্ছে। সুতরাং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে বিষয় সেটা হল এর ফাইনাল আগামী জুনে নির্ধারণ করা আছে। এর আগে কিন্তু এফটিপি অনুসারে প্রত্যেক দেশের খেলাগুলো শেষ করার গাইডলাইন আছে। মার্চে ছিল গাইডলাইন যেটাকে বাড়িয়ে এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলো আয়োজনের ক্ষেত্রে। এই সময়ের মধ্যে স্থগিত খেলাগুলো সম্পন্ন করতে সব দেশের ক্ষেত্রেই কিন্তু দুই দলকেই এভেইলএবল থাকতে হচ্ছে। আমাদের ক্ষেত্রে এই সময়ে কেবল শ্রীলঙ্কা এভেইলএবল আছে। এটা নিয়েই আমরা কাজ করছি। এই সময়ের মধ্যে অন্য স্থগিত টেস্টগুলো আয়োজনের সুযোগ নেই। তাই অন্য ফরম্যাটের কোন সিরিজ যুক্ত করা যায় কিনা সেভাবেই আমরা কাজ করছি।
এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফর..
এরকমই কথা হচ্ছে। এপ্রিলে একটা সময় আছে যেখানে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুই দলই এভেইলএবল আছে। সুতরাং এই সময়েই আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে দুইটা বা তিনটা টেস্ট ম্যাচ ছিল সেটাকে ফিট করার চেষ্টা করছি।
কারও সাথে ওয়ানডে কারও সাথে টি-টোয়েন্টি। আমরা শিডিউল চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বলতে পারিনা। আমি জানিনা আপনারা কোন সাইটে দেখেছেন বা কার নিউজে দেখেছেন। এটা একোয়াট নিউজের বেসিসে, আমরা দুই বোর্ড যখন তারিখ ও সময় চুরান্ত করবো তখনি আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারবো। এখন যেটা হল এফটিপি কমিটমেন্টে যেভাবে আছে সেভাবে কাজ করছি, এর বাইরে কিছু বলা ঠিক হবে না।
অজিদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ নেই..
অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের তিন টেস্ট দুটি টি-টোয়েন্টি ছিল। এখন যেহেতু টি-টোয়েন্টিটা এখানে ফিট করা যাচ্ছে আমরা সেটা করছি। দুইটা টি-টোয়েন্টি বেড়ে তিনটা করা হচ্ছে। এর মানে এই না যে এটার বদলে ওটা, যতটুকু ফিট করা যায়। যেমন যদি টেস্ট ফিট করার জায়গা থাকতো আমরা টেস্ট ফিট করতাম। যেহেতু আমাদের ও অস্ট্রেলিয়ার সময় এভেইলেবল তিনটা ওয়ানডে, তিনটা টেস্ট অথবা তিনটা টি-টয়েন্টি খেলার। তাই আমরা টি-টোয়েন্টি ফিট করেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটা আমদের জন্য ভালো প্রস্তুতি। এটা বড় সুযোগ যে বিশ্বকাপের আগেই এমন হাই প্রোফাইল একটা দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছি।
টেস্ট এবং ওয়ানডেগুলো এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগের। আর এটার নির্দিষ্ট সময়সীমাও থাকে। ফলে আগের মত স্থগিত হলে তিন বছর পরে ফাঁকা সময়েও ফিট করে দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। এই কারণেই সুযোগ নেই যেহেতু এটার ফাইনাল হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ফাইনাল হয়ে গেলে ঐ কম্পিটিশনের কোণ খেলা খেলার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে এডিশনাল ম্যাচ খেলতে হবে। কিন্তু বর্তমান যে এফটিপির কমিটমেন্ট তাতে এডিশনাল ম্যাচ খেলার সুযোগ কমে যাচ্ছে। আমরাও যতটুকু পারি চেষ্টা করি ম্যাক্সিমাম খেলাটা অ্যারেঞ্জ করতে।
Discussion about this post