ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেখার মতো এক দৃশ্য! জোমেল ওয়ারিকানের ডেলিভারিতে থেকে আসা বল সুইপ করে ফাইন লেগে পাঠিয়ে দিয়েই হাওয়ায় ভাসলেন তিনি। উড়তে চাইলেন যেন আকাশে। এমনটাই তো স্বাভাবিক। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দ চোখে মুখে! শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি মিরাজের প্রথম প্রথম শতরান। এমন অর্জনে নতজানু হয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করলেন না বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন রঙিন করে তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার শতরানেই বাংলাদেশ গড়ে ১ম ইনিংসে ৪৩০ রানের বড় সংগ্রহ।
চট্টগ্রামের সাগরিকার পাড়ে আট নম্বরে নেমে ১৬০ বলে শতরান করেন মিরাজ। তিনি ফিরতেই শেষ টাইগারদের ১ম ইনিংস। আর মিরাজ থামেন ১০৩ রানে। টেস্টে আটে নেমে তার আগে বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খালেদ মাসুদ পাইলটের ব্যাটে ১০৩। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১৫। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সোহাগ গাজীর ১০১ রানের কীর্তির পর এবার মিরাজ ম্যাজিক।
এই টেস্ট সিরিজের আগে টেস্ট খেলেন ২২টি, ওয়ানডে ৪৪টি, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ১৩টি। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার ৪০ ম্যাচের, লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ৯৩ ও টি-টুয়েন্টি ৭৫ ম্যাচ, স্বীকৃত ক্রিকেটের ২৪৭ ইনিংস পর পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। যেন অনেক কাল পর নেমে এলো অঝোর ধারার বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে লিটন দাস আউট হতেই উইকেটে যান মিরাজ। ঠিক তখনই শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, জোমেল ওয়ারিক্যানদের সামলে খেলতে থাকেন দারুণ স্বচ্ছন্দে। দেখার মতো ব্যাটিং। ফ্লিক, সুইপ, ড্রাইভ, কাট দারুণ ছন্দে খেললেন। মনেই হয়নি তিনি আট নম্বরের ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে সিরিজ যে ছন্দে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু তার।
এই ছন্দটা ২৩ বছর বয়সী মিরাজ ধরে রাখতে পারলে জাতীয় দলে জায়গাটাও পোক্ত হয়ে যাবে।
Discussion about this post