ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ঠিক হয়ে গেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক। ইংলিশ কোচ জন লুইসকে এ দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দু-এক সিরিজ দেখে তারপর তাকে দীর্ঘমেয়াদে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
এই তথ্য দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। বুধবার গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে জানালেন আরও অনেক তথ্য। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
তাহলে ব্যাটিং কোচ পেয়ে গেল জাতীয় দল?
ও (লুইস) আসে নাই। ও (লুইস) কাল পরশুর মধ্যে আসবে। ও আসলে ওর সাথে আমরা সামনা সামনি কথা বলব। এখন যে পরিস্থিতিটা হলো করোনার কারণে কেউ লম্বা সময়ের জন্য কন্ট্রাক্টে যাচ্ছে না এবং ভেটরিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। ও বেচারা আসতে চেয়েছিল কিন্তু অনেক ফর্মালিটিস রয়েছে। নিউজিল্যান্ড থেকে যখন বাইরে য়ায় আবার বাইরে থেকে যখন দেশে ঢুকে তখন অনেকদিন সময় লাগে। সো ডিফিকাল্ট। তো ওকে এখন সামনা সামনি বসে আমরা দেখব এখন প্রথম দুই একটা সিরিজ দেখি কেমন তারপর যদি ভালো হয় আমরা চেষ্টা করব ওকে রাখার।
স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির কোন আপডেট…
ভেট্টোরি কিন্তু আসতে চেয়েছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ড যে একটা নিয়ম করেছে দেশের বাইরে থেকে যখন দেশে ঢুকবে ওটা আপনাকে অনেক আগে জানায় দিতে হবে। তারপর ওখানে অনেকদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তো যে জায়গায় থাকতে হবে ঐ জায়গাটা কিন্তু অনেক লিমিটেড। ওখানে সিরিয়াল পাওয়া জায়গা যায় না। যতদিন পাওয়া যাবে না ততদিন এখানে ওয়েট করতে হবে। তারপর সিট কনফার্ম হলে তারপর যাবে সো এগুলা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে দেলাম অনেক টাফ, টাকা পয়সারও ব্যাপার আছে প্লাস টাইমটাও অনেক বেশি নিচ্ছে বিধায় আমরা নিউজিল্যান্ড যখন যাব তখন সে টিমের সাথে থাকবে এবং বাংলাদেশী কোচ সোহেলকে ওর পরিবর্তে আমরা রাখছি।
এই জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা যাবে টেস্ট ক্রিকেটেও…
আমরা মিস করেছি অনেকগুলা টেস্ট। বাংলাদেশ এখন যে পর্যায়ে আছে আমরা আসলে যত বেশি খেলতে পারব তত উন্নতি করব। আমরা ওয়ানডেতে, টি-টুয়েন্টিতে বেশি খেলার পর দেখেন একটা পর্যায়ে আসছি। তো টেস্ট আমরা ওরকম চাচ্ছি ইনশাআল্লাহ গত বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে আমরা কিছু পেস বোলার পেয়েছি এদেরকে যদি ভালোভাবে পরিচর্যা করতে পারি এবং ফিউচারে আমাদের ভালো ভালো বোলার বেড়িয়ে আসবে আশা করছি। কিন্ত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেশি করে টেস্ট খেলা। তো সেই সুযোগটা আমাদের কিছুটা হাতছাড়া হয়েছে। চেষ্টা করছি সেগুলো ফিরিয়ে এনে খেলার। একটাই জিনিস আমি বিশ্বাস করি যতগুলো আমরা টেস্ট ম্যাচ আমরা খেলতে পারব তত উন্নতি করব।
টেস্টে বাজে সময় শেষ হচ্ছেই না। এবার তো দল আফগানিস্তানের নিচে চলে গেল?
হয়তো র্যাঙ্কিংটা অনেক ক্ষেত্রে অনেক ভ্যালু করা হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে ওত গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের জন্য ম্যাচ খেলাটা জরুরি। সো আমরা যেহেতু টেস্ট খেলতে পারি নাই তো আমাদের র্যাঙ্কিং তো নিচে নামবেই। কিন্তু এখন যে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলব। তো এটা বিষয় নয় যে এখানে হয়তো ও্রদের কিছু নামকরা খেলোয়াড় আসতেছে না। হয়তো প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার আসতেছে না, এটা না যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্য প্লেয়াররা ওই পর্যায়ের না। ওদের স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু অনেক ভালো। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কিভাবে খেলছেন, আপনার দলের খেলোয়াড়েরা কিভাবে খেলছে, ওদের অ্যাপ্রোচ কেমন, ওরা ফর্মে আছে কিনা এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ।
উইন্ডিজের এই দলটার সঙ্গে লড়াই কেমন হতে পারে?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো টিমের সঙ্গেও আমরা জিতেছি। কিন্তু খারাপ দলের সঙ্গে যে জিতবো এমন কোন কথা নেই। জরুরি হচ্ছে আমাদেরকে ভালো খেলতে হবে। সেদিকেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। যেন আমরা বোলিং ব্যাটিং ফিল্ডিং তিন বিভাগেই আমরা যেন ভালো ভাবে খেলতে পারি এবং এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে অনেকদিন পর আমরা টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলবো। তাই দুই পক্ষের জন্যই বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। ওদের জন্যও যেমন চ্যালেঞ্জ নতুন খেলোয়াড়রা সুযোগ পেয়েছে ওরা নিজেদের শতভাগের চেয়েও বেশি দিবে। সেটা আমাদের জন্য আরো বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের করোনা টেস্ট কবে?
আমরা ১০ জানুয়ারির দিকে হোটেলে উঠবো। কিন্তু তার আগে যেহেতু সম্মীলিত অনুশীলন করবো তাই আমরা আমরা পরীক্ষা করছি। কারণ আপনারা জানেন দুই তিনদিন পর পর আমাদের টেস্ট করতে হয়। যা আমরা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির সময়েও করেছি। তার আগে যে প্রেসিডেন্ট কাপ হয়েছিলো তখন করেছি। তো আমরা ঠিক সেভাবেই যাচ্ছি। প্রথমবারের মত কোভিডের মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক সিরিজ করছি। সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
Discussion about this post