ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ব্যস্ত সূচি ছিল ২০২০ সালেও। কিন্তু করোনাভাইরাসে সর্বনাশ। বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ২০২১ সালেও ব্যস্ত সূচি। কিন্তু এবারও কি একই অবস্থা হবে? করোনার ভ্যাকসিন দেশে আসেনি। তাহলে কী নির্বিঘ্নে এ বছর খেলতে পারবে না ক্রিকেটাররা?
করোনা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে তিন ফরম্যাট মিলিতে ২০২১ সালে কমপক্ষে ৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কথা টাইগারদের। ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি তো সঙ্গে আছেই।
এফটিপি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচের কমতি নেই বাংলাদেশ দলের।ঘরের মাঠে ৫টি ও দেশের বাইরে ৪টি সিরিজ থাকছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। সঙ্গে ভারতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আর গত বছর স্থগিত হওয়া এশিয়া কাপ তো আছেই।
জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট ও ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ দল। তারপরই আসছে ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে টাইগাররা। সেখানে ৩টি ওয়ানডে ও সমান টি-টুয়েন্টি খেলার কথা সাকিব আল হাসানদের।
তারপরই হতে পারে স্থগিত থাকা শ্রীলঙ্কা সফর। দুই বোর্ড ২ ম্যাচের টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জুনে এশিয়া কাপ। তারপরই জিম্বাবুয়ে সফর বাংলাদেশ দলের। সেখানে দুটি টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি। আগস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের আসার কথা বাংলাদেশে। ৩ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে লড়বে দুই দল। এরপরই ইংল্যান্ড দল আসবে ৩টি ওয়ানডে ও সমান টি-টুয়েন্টি খেলতে।
ভারতের মাঠে অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই লড়াই শেষ করে দেশে ফিরেই পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ দল। বছরের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারে টাইগাররা।
এরসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। গত বছর এই আসর হয়নি। এ কারণে দুটি ডিপিএল আসর মাকরতে চায় তারা। সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল লিগ (এনসিএল) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল), বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপও আয়োজন করতে চায় বিসিবি।
Discussion about this post