ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে চেনা পরিবেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু কোনভাবেই এ তারকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবারও ব্যাট-বল হাতে আরেকবার ব্যর্থ হলেন তিনি। খেসারতটাও তাই ফের হেরেই দিতে হয়েছে খুলনাকে। এরআগের ম্যাচে দলটি হেরেছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কাছে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের ৮ম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার কাছে জেমকন খুলনা হেরেছে ২০ রানে। এরআগে টস হেরে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। কিন্তু আগে ব্যাট করতে নেমে দলটিকে হতাশ করে ঢাকা। শেষ পর্যন্ত সাব্বির রহমান (৩৮ বলে ৫৬), আল-আমিন (২৫ বলে ৩৬) ও আকবর আলির (১৪ বলে ৩১) ঝড়ে দলটির নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাব দিতে নেমে জহুরুল ইসলাম (৩৬ বলে ৫৩) ছাড়া আর কোন খুলনার ব্যাটসম্যান নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। যে কারণে দলটি ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রান তুলেই গুটিয়ে যায়। এরফলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বৃহস্পতিবার বল-ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে এ তারকা করেছেন ৮ রান। বল হাতে ৩ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শুন্য।
এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার ঝড়ো শুরু এনে দেন মোহাম্মদ নাঈম। তিনি করেন ১৭ বলে ৩৬ রান। এদিকে তার ওপেনিং সঙ্গী সাব্বির রহমান খেলেন ৩৮ বলে ৫৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। তাতেই শুরুটা দুর্দান্ত হয় ঢাকার। এরপর আল আমিন জুনিয়র খেলেন ২৫ বলে ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। শেষ দিকে ঝড় তোলেন আকবর আলি। এ তারকা নাজমুল ইসলাম অপুর এক ওভারেই মারেন চারটি বিশাল ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ১৪ বলে ৪ ছয় ও ১ চারে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। আর তাতেই স্কোর বোর্ডে লড়াইয়ের পুঁজি পায় ঢাকা।
১৮০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে যে ধরনের ব্যাটিং শুরুতে করা দরকার ছিল সেটা বৃহস্পতিবার পারেনি ঢাকা। শুরুতেই দলটি হারিয়ে বসে ওপেনার জাকির হাসানকে। এর কিছুক্ষণ পরই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেনে আনেন সাকিব। রবিউল ইসলামের স্পিন বল বুঝতে না পেরে সামনে এসে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শর্ট থার্ডম্যানে রুবেল হোসেনের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ফেরার আগে মাত্র ৮ রান করেন এ তারকা।
শুরুর ধাক্কা অবশ্য কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে ছিলেন ওপেনার জহুরুলকে নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ ২২ গজে টিকে থাকতে পারেননি। মুক্তারের বলে বিগ শর্ট খেলতে গিয়ে লং অনে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এদিকে মাশরাফিও পারেননি ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে। জহুরুল চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হাফসেঞ্চুরির কোঠা পূর্ণ হতেই দলের বিপদ বাড়িয়ে এ ওপেনার পথ ধরেন সাজঘরের।
অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের মিছিলে অবশ্য বৃহস্পতিবার কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন শামিম হোসেন। ৯ বলে ২ চার ও ২ ছয় হাঁকির দলের রানের চাকা তিনি রেখেছিলেন স্বচল। কিন্তু তরুণ এ তারকা নিজের ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি। ইনিংসের ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুশফিকের হাতে ধরা পড়ে রুবেলের শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন। তার আগে তিনি করেন ৯ বলে ২৪ রান। শেষ দিকে খুলনার পরাজয়ের ব্যবধান শুরু কমান হাসান মাহমুদ।
Discussion about this post