ক্রিকিবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শুরুতে নামই ছিল না তার। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি এতোটাই কাবু করে ফেলেছিল, মনে হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টিতে খেলতেই পারবেন না তিনি। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎই মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনে দেখা যায় তাকে। ব্যস, শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন-২০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে খেলছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এরপরই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। একসঙ্গে একাধিক দল হাত বাড়ায় এই তারকা ক্রিকেটারের দিকে। শেষ অব্দি লটারিতেই নিস্পত্তি। চার দলের লড়াই শেষে মাশরাফিকে পেয়েছে জেমকন খুলনা।
মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসানদের সঙ্গে একই দলে থাকছেন মাশরাফি। লটারিতে এই অভিজ্ঞ পেসারকে দলে পেয়েছে খুলনা।
এই তারকা ক্রিকেটারকে পাওয়ার লড়াইয়ে আরও ছিল- ফরচুন বরিশাল, মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও বেক্সিমকো ঢাকা। রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লটারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক ও টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জালাল ইউনুসের তোলা টোকেনে ছিল খুলনার নাম।
লটারি হওয়ার আগে আরেকটি বাধা পেরোতে হয় মাশরাফিকে। রোববার সকালে ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে বিপ টেস্টে উতরে যান তিনি।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিল না মাশরাফির নাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিসিবি জানিয়েছিল, টুর্নামেন্ট চলার সময় মাশরাফি ফিট হলে এবং একাধিক দল তাকে পেতে আগ্রহী হলে তাদের মধ্যে লটারি করা হবে।
এখনই মাঠে নামতে পারছেন না ম্যাশ। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার আগে কোভিড ১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ হতে হবে মাশরাফিকে। এরইমধ্যে রোববার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অবশ্য করোনামুক্ত আগেই হয়েছেন মাশরাফি। তিন সপ্তাহের বেশি করোনাভাইরাসে ভুগে জুলাইয়ের সুস্থ হয়ে উঠেন বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক।
এ অবস্থায় সব ঠিক থাকলে কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে মঙ্গলবার মাঠে দেখা যেতে পারে মাশরাফিকে। যেখানে খুলনা লড়বে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের সঙ্গে।
‘এ’ গ্রেডের ক্যাটাগরিতে পাবেন পারিশ্রমিক। যেখানে পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। যতগুলো ম্যাচ খেলবেন পারিশ্রমিক ভাগ করে ম্যাচ ফি হিসেবে দেওয়া হবে।
Discussion about this post