জয় দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিকেট সিরিজটা শেষ করতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়কের ইচ্ছে পুরন হল না। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ১৫ রানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। পুরো সফরে বাজে খেলার পর সান্ত্বনার জয় তুলে নিল কিউইরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সফরের একমাত্র টি-টুয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে করে ২০৪ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এটি কোনো দেশেরই সর্বোচ্চ রান। ২০০৮ সালে করাচিতে ৫ উইকেটে ২০৩ রান করেছিল পাকিস্তান।
এমন বিশাল সংগ্রহের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলে ১৮৯ রান।
অথচ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বল থেকে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত টানা দশ বলে মুশফিকুর রহিম আর নাঈম ইসলাম ঝড় তুলেন। সেই দশ বলের উঠা রান দেখে নিন- ৪, ৪, ৪, ৪, ৪, ১, ৪, ৬, ৪, ৪! মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি জিতছে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই নাঈম ১০ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৫০। মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩৪। ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি।
এর আগে শুরু থেকেই ঝড়ো গতিতে ব্যাট করেছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। ৩১ বলে ৫৯ রান করে ফিরে যান ওপেনার অ্যান্টন ডেভিচ। তাকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন আব্দুর রাজ্জাক। সোহাগ গাজী ফিরিয়েছেন ১৭ রান করা হামিশ রাদারফোর্ডকে। রস টেলর ২৮ রান করে আউট হয়ে যান। তবে কলিন মানরো খেলেছেন ৩৯ বলে ৭৩ রানের দারুন এক ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন আল আমিন। পেসার রুবেল হোসেনের জাযগায় খেলতে নেমেছেন তিনি।
এর আগে দুই টেস্টের সিরিজ ড্রয়ের পর ওয়ানডেতে কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভার, ২০৪/৫ (ডেভিচ ৫৯, রাদারফোর্ড ১৭, টেইলর ২৮, মানরো ৭৩*, অ্যান্ডারসন ১৮; আল-আমিন ২/৩১, রাজ্জাক ১/১৯, জিয়া ১/২৬, সোহাগ ১/৩০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভার, ১৮৯/৯ (শামসুর ৪, জিয়া ৬, মুমিনুল ৯, মুশফিক ৫০, নাঈম ১৮, নাসির ২৮, মাহমুদুল্লাহ ৩৪, সোহাগ ২৪, মাশরাফি ৭*, আল-আমিন ৫*; সাউদি ৩/৩৮)
ফল: নিউজিল্যান্ড ১৫ রানে জয়ী
http://youtu.be/gA8t9PspdGA
Discussion about this post